অপকর্ম বন্ধ ও ভূয়া সমন্বয়ক চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা
এম চোখ ডট কম, মেহেরপুর :
সারাদেশে চাঁদাবাজি, দূর্ণীতি’ দখলদারিত্ব বন্ধ সহ ভূয়া সমন্বয়ক চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার ঢাকার সমন্বয়ক ওয়াহিদ উজ জামানসহ ১০ সমন্বয়ক মেহেরপুর সফরে করেন।
বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ওয়াহিদ উজ বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে সারাদেশে ভূয়া সমন্বয়ক সেজে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও দেশে আগের মতোই কিছু স্বার্থন্বেশী মানুষ নিজেদের স্বার্থগুলো হাসিলের উদ্দেশ্যে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। ফ্যাসিজ সরকার বিতাড়িত হলেও তাদের পেতাত্মারা ভর করেছে তাদের মাঝে। এসব অপকর্ম যাতে কেউ করতে না পারে সেই লক্ষে প্রতিটি জেলায় গিয়ে শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে।
আগামির বাংলাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান সেই বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হবে এই মতবিনিময় সভা থেকে। দেড় হাজার ভাই ও বোনের রক্তের বিনিময় যে নতুন বাংলাদেশে পেয়েছি। সেই বাংলাদেশে বিনির্মানে সাধারণ মানুষের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের ৬৪ জেলার মানুষের চিন্তাধার মধ্যে ভিন্ততা রয়েছে। সেই ভিন্ন চিন্তাগুলো একজায়গায় করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে তাদের ভূমিকা থাকবে সবার শীর্ষে।
শহীদ ও আহত ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সারাদেশে গিয়ে আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। চিকিৎসা থেকে শুরু করে তাদের পরিবারের চাহিদাগুলো জানান চেষ্টা চলছে। এছাড়াও শহীদদের জন্য একটি ফান্ড তৈরির চিন্তা করছে সরকার। আহত ও নিহতদের পরিবারের স্বজনদের চাকুরি দেওয়ার মাধ্যমে তাদের পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।
সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করার কোন সুযোগ নেয়। দ্রæত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। দেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে কমিটি দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
সমন্বয়কের দলটি সকালে মেহেরপুর সরকারী কলেজ শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তারা সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহীনি, রাজনীতিবীদ, জেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন। জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান, জেলা জামায়াতের আমির মাও. তাজউদ্দীন খান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।