এম চোখ ডট কম, ডেস্ক:
এক ধানের জায়গায় হবে ৯টি ধান। ধানের শীষের শাখা-প্রশাখায় অনেক ধানের সমাহার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে ফলন। প্রচলিত জাতের চেয়ে দ্বিগুণ ফলন হবে বলে। এমনই একটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন দিনাজপুরে অবস্থিত হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (হবিপ্রবি) একটি গবেষক দল। যা দেশের খাদ্য উৎপাদনে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন জাতের ধানের বৈশিষ্ঠ:
নতুন এ জাতের ধান হচ্ছে বন্যা ও খরাসহিষ্ণু। ফলে দেশের বন্যাপ্রবণ এলাকায় যেমনি চাষ করা যাবে তেমনি তীব্র খরায় জাতটি টিকে থাকতে পারবে। তাই পরিবর্তিত জলবায়ুর বিরুপ পরিস্থিতি মোকাবেলা সক্ষম হবে। এ জাতের ধান গাছের কাণ্ড শক্ত তাই হেলে পড়ে না। ধান পাকার পরে খাড়া থাকায় যন্ত্র দিয়ে কম খরচে কাটা সম্ভব। আবার ধান পাকা পর্যন্ত পাতা গাঢ় সবুজ থাকে। এর খড় বা বিচুলি গবাদি পশুর উত্তম খাদ্য হবে। অপরদিকে প্রচলিত জাতগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ ফলন হওয়ায় কৃষক লাভবান হবেন। পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এ জাতটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছেন এর গবেষকরা।
নতুন জাতের ধানের গষেবক দল :
হবিপ্রবির উদ্ভিদ ও রোগতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ, কৃষিতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোমিনুর রহমান ও উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিুজ্জামান এ গবেষণার নেতৃত্ব রয়েছেন। এ দলে আরও রয়েছেন কৃষিতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী নূরী মারজান, মামুনুর রশিদ ও কৌলিতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুমি সাহা।
জাতটির বিষয়ে অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, এ জাতটির মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি পাবে এতে কৃষকরা অনেক বেশি লাভবান হবেন। ধান উৎপাদানের আগ্রহ বেড়ে যাবে কৃষকদের। আরও কয়েক বছর জাতটি নিয়ে গবেষণা করা হবে। গবেষণা সম্পন্ন হলেই জাতটি সারা দেশের কৃষকরা আবাদ করতে পারবেন।
255
previous post