গাংনীতে টিসিবি’র ৫ কেজি চাউলে আধা কেজি কম
এম চোখ ডট কম:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নে টিসিবি চাউল বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ কেজি চাউল কেনার পর ওজন করে তা দাঁড়াচ্ছে সাড়ে চার কেজিতে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টিসিবি ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদে অত্র ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির চাউল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষ প্রতিবাদ জানায়। এসময় ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে অবস্থান নেওয়া ডিলারের লোকজনের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা বাধে। অতি দরিদ্র মানুষের রক্ত ঘাম ঝরানো টাকায় কেনা চাউল ওজনে কম দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ আর ক্ষোভ শুরু হয় স্থানীয়দের মাঝে। টিসিবি ডিলার পেশিশক্তি ব্যবহার করে গরিব মানুষের চাউলে ওজন কম দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রতিবাদকারীরা।
ভুক্তভোগী আড়পাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ নজিম উদ্দীন বলেন, গরিব মানুষ তাই টিসিবি থেকে সরকারী কম মূল্যের চাউল কিনেছি। পাঁচ কেজি চাউরে দাম পরিশোধ করি। তবে চাউল ওজন না করে একটি বালতিতে আনুমানিক ওজন হিসেবে আমার ব্যাগে ঢেলে দেওয়া হয়। কম দেওয়া হয়েছে সন্দেহ হলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের একটি দোকানে ডিজিটাল স্কেলে ওজন করি। তখন দেখি আধা কেজি কম।
একই অভিযোগ করেছেন শানঘাট গ্রামের নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, একসাথে আমরা তিন জনের চাউল হিসেবে ১৫ কেজি কিনি। বাইরে গিয়ে মেপে দেখি ১৫ কেজি চাউলে দুই কেজি কম। বিষয়টি ডিলারকে বললেও তিনি কানে নেননি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধানখোলা ইউনিয়নের টিসিবি ডিলার মাহিন ট্রেডিং কোম্পানীর সত্ত্বাধিকারী মুস্তাকিম বিল্লাহ। তিনি বলেন, ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, অতি দরিদ্র বয়োবৃদ্ধ মানুষগুলো রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে লম্বা লাইন দিয়ে টিসিবি পণ্য কেনেন। এরকম মানুষগুলোর সাথে ডিলারের ওজন প্রতারণায় তীব্র প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন পরিষদের আশেপাশের লোকজন। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ঠদের এ বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাই ভুক্তভোগীদের।
এ প্রসঙ্গে ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টিসিবি ডিলার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের না। পরিষদ ভবন শুধুমাত্র পণ্য বিক্রিতে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে ওজন কম দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হবে।
বিষয়টি গোচরে আনলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বলেন, ওজন প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।