এম চোখ ডটকম: পিঠা বাঙালীর চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। আবহমান বাংলার এই ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে মুখরোচক বাহারি পিঠা-পুলি নিয়ে শুরু হয়েছে পিঠা উৎসব। আর এর আয়োজন করেছে মেহেরপুরের গাংনী মডেল সরকারী বালিকা বিদ্যালয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালুর সভাপতিত্বে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম । বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ও গাংনী হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক।
স্টলে স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে চলছে প্রদর্শনী। দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে ছিলো নানা রকম পিঠার সমাহার। সরগরম উৎসব আঙ্গিনায় পিঠা খাওয়ার দৃশ্যকে স্মৃতিময় করে রাখতে অনেকেই তুলেছেন সেলফি। স্টলে দৃশ্যমান হলো রকমারি পিঠা-পুলি। ভাপা চিতই, মালপোয়াসহ বাহারি সেসব পিঠার স্বাদ নিতে অনেকেই এসেছিলেন বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়।
অতিথীরা বলেন, পিঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে নগরায়ণের প্রভাবে আজ তা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। অথচ একসময় বাঙালির যেকোনো উৎসব আনন্দে মিশে থাকতো রকমারি পিঠা। যা অনেকটাই হারাতে বসেছে। এটা শুধু একটি উৎসব নয়, এটা নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতার মাঝে নির্মল আনন্দের খোরাকও। নাগরিক ও ভোগবাদী সমাজের সংস্কৃতিতে এই উৎসব আবহমান বাংলার সংস্কৃতির চিরন্তন উপাদান তুলে ধরার এ আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
গাংনীতে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
260
previous post