গাংনীর দুর্লভপুর মসজিদ কমিটির সভাপতি হেলারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দুলর্ভপুর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম এবং মসজিদ ফান্ডের টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগে বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছেন গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যে হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এখনও তিনি আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল না করায় আরও বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছেন গ্রামের মানুষ।
হেলাল উদ্দীন গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক রোকন আলী অভিযোগ করে জানান, ২০২০ সালে তিনি কমিটির সাধারণ সম্পাদক হলেও ৫/৬ মাস পর বিএনপির নেতা হিসেবে হেলাল তাকে কাজের বাইরে ঠেলে দেয়। মসজিদের একটি ভাল ভবন নির্মান কাজ শুরু হয়। তবে হেলাল উদ্দীন একাই কেনাকাটা ও মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করাতে থাকেন।
ওই কমিটির ক্যাশিয়ার আব্দুল জাব্বার বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে হেলাল মাস্টার কোন খাতা কলম ছাড়াই সব কাজ নিজ অধিনে চালিয়েছে। কমিটির কোন সদস্যর রোল ছিল না। আমাদের ৮ লাখ টাকা ছিল মসজিদ ফান্ডে। ওই টাকা তিনি তুলে ইট কেনেন কিছু টাকার। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে ব্যাংকে একাউন্ট হলেও টাকা রাখা হয়নি। সব টাকা হেলাল উদ্দীন নিজের কাছে রাখেন। এছাড়াও মসজিদের মুসল্লিদের নিয়মিত দানের টাকাও এক জায়গায় করে হেলাল উদ্দীনকে দিয়ে দেওয়া হতো।
কমিটির সদস্যরা জানান, সাত বছর ধরে হেলাল উদ্দীন সভাপতি ছিল। এ সময়টাতে সে কোন আয় ব্যয়ের হিসেবে দেয়নি। প্রতি বছর সভাতে ৪/৫ লাখ টাকা করে আদায় হয়েছে। গ্রামের মানুষ হিসেবে ছাড়াই অনেক সিমেন্ট দান করেছে। এসবের কোন হিসেব দেয়নি হেলাল উদ্দীন।
তাদের অভিযোগ, বারবার হেলাল উদ্দীনকে হিসেব দিতে বলা হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। তিনি গাংনীতে অবস্থান করেন হিসেবে দেওয়ার ভয়ে গ্রামে আসেন না। মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেছেন মুসল্লিরা।
তবে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে হেলাল উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন বিষয়টি দ্রæত সমাধান হবে।