জনপ্রশাসন মন্ত্রীর উদ্যোগ ।।মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ পেল ছয় শিক্ষক
এম চোখ ডট কম, মেহেরপুর :
দীর্ঘদিন শুন্য থাকার পর মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ পেল ছয় শিক্ষক। রোবার চার জন এবং এর আগে বৃহস্পতিবার আরও দুই জন শিক্ষক জোগদান করেছেন। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শূন্য পদে শিক্ষক পাওয়ায় মন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত আরও ৪ জন শিক্ষক যোগদান করবেন। প্রতিষ্ঠানটির মোট ১০ জন শিক্ষক পদায়ন হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছিল। শিক্ষক সংকটে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছিল। শূন্য পদে শিক্ষক পদায়ন হওয়ায় কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজি আশরাফুল আলম জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মাউসি ও জেলা প্রশাসকের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে মাউসি ১০ জন শিক্ষককে অত্র কলেজে পদায়নের আদেশ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার গণিত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে আলমগীর কবীর ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক মেহেদী হাসান যোগদান করেন। গতকাল রবিবার আরও ৪ জন শিক্ষক যোগদান করেছে। এরা হলেন সহকারি অধ্যাপক (গণিত) ড. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, ইতিহাস বিভাগে সহকারী অধ্যাপক সুজন মিয়া, প্রাণিবিদ্যা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া ইসলাম, এবং স রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক বিবেক বিশ্বাস যোগদান করেন। আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে আরও ৪ জন শিক্ষক যোগদান করবেন বলে কলেজ সুত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, জেলার সবচেয়ে বড় ও স্বনামধন্য নারী শিক্ষার এই কলেজটিতে শিক্ষক সংকটে থাকা সমস্যা অনেকটা দুর হবে নুতন শিক্ষক পেয়ে। কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত খুশী নুতন শিক্ষকদের পেয়ে। সকল শিক্ষককে ফুলেল শুভেচছায় বরণ করে নেয়া হয় অধ্যক্ষ ও শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে।
১৯৮৫ সালে গড়ে ওঠা জেলার অন্যতম নারী শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানটি ২.৮৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এ কলেজটি ১৯৯২ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর জাতীয়করণ হয়। নারী শিক্ষায় জেলায় অন্যতম এ কলেজ থেকে এ বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সাফল্য অর্জণ করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেন। এছাড়া অসংখ্য শিক্ষার্থী বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। বিজ্ঞান সপ্তাহ, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহসহ সকল সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে জেলার শীর্ষে অবস্থান করছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে কলেজ পর্যায়ে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন এ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম ও শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন এ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ আতিয়ার রহমান।
কলেজটিতে বিএনসিসি ও গার্ল ইন রোভার স্কাউটস এ কলেজটি নিয়মিত সকল কার্যক্রম করে থাকে। সব মিলিয়ে জেলার নারী শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানটি আরও সফলতা লাভ করে সকলের আস্থার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্তি করেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজি আশরাফুল আলম বলেন, শিক্ষক সংকট থাকায় নিয়মিত পাঠদান ব্যহত হচ্ছিল। আমি মাননীয় জনপ্রশাসন মন্রী, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার কাছে কৃতজ্ঞ কলেজের সার্বিক সমস্যা বিবেচনা করে শিক্ষক পদায়নের জন্য অনুরোধ করি। মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ঠদের উদারতায় আমরা শিক্ষক পেয়েছি। কলেজটি লেখপাড়ায় আরও ভাল করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।