223
এম চোখ ডটকম, মেহেরপুর:গতকাল বৃহস্পতিবার ছিলো মেহেরপুর জেলার জন্মদিন। চোখে পড়া মতো ছিলোনা কোন আয়োজন। ১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা লাভ করেন। ২০০০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর সদর উপজেলা বিভক্ত হয়ে মুজিবনগর উপজেলার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় তিনটি উপজেলা রয়েছে। মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী। আয়তনে ৭১৬.০৮ বর্গ কিলোমিটার। ০২টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন, ১৯৯টি মৌজা, ২৫৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয় মেহেরপুর জেলা। মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী। আয়তনে ৭১৬.০৮ বর্গ কিলোমিটার। ০২টি পৌরসভা (১টি ’ক’ শ্রেণীর, ১টি ‘খ’ শ্রেণীর), ১৮টি ইউনিয়ন, ১৯৯টি মৌজা, ২৫৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয় মেহেরপুর জেলা। নদ-নদীর সংখ্যা ০৪টি, আয়তন ১১৪৪৫.২০ হেক্টর। নদীর নাম- ভৈরব, কাজলা, ছেউটিয়া, মাথাভাঙ্গা ইত্যাদি। বিল ও প্রধান প্লাবনভূমির সংখ্যা ১১৪০টি, আয়তন ৩০৭৬২.০০ হেক্টর। বনভূমি ৩৮৮৬০.৭৩ একর। আয়তন ৮৭৪.৫০ একর। সাদামাটি মহল ১টি, আয়তন ২৪.৩৩ একর ইত্যাদি। মেহেরপুর নামকরণ সম্পর্কে এ পর্যন্ত দুটি অনুমানসিদ্ধ তথ্য আমরা জানা গেছে, একটি হচ্ছে ইসলাম প্রচারক দরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ষোড়শ শতকের অথবা তার কিছুকাল পরে মেহেরপুর নামকরণের সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয় দিকটি এখানে উল্লেখ্য, পূর্ববঙ্গ রেলওয়ের বাংলায় ভ্রমণ গ্রন্থে বিখ্যাত বচনকার মিহির ও তাঁর নিজের পুত্রবধু খনা (খনার বচন বিখ্যাত) ভৈরব নদীর তীরস্থ এ অঞ্চলে বাস করতেন। তার নামানুসারে প্রথমে মিহিরপুর এবং পরবর্তীতে অপভ্রংশে মেহেরপুর মেহেরপুরের নামকরণ হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। মোটজমি ৬০,১৮৩ হেক্টর, নীট ফসলী জমি ৬০,০২৪ হেক্টর। এক ফসলী জমি ৩,১৫৩হেক্টর, দুই ফসলী জমি ৩০,৯১৩ হেক্টর, তিন ফসলী জমি ২৫,৮৩৮ হেক্টর, তিনের অধিক ৩২০ হেক্টর। মোট ফসলী জমি ১,৪৩,১৭২ হেক্টর, ফসলের নিবিড়তা ২৩৮.৫২%। কৃষি ব্লকের সংখ্যা ৫৬টি, কৃষি বিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্র ৫৬টি, সয়েলমিনিল্যাব ১৪টি, বিএডিসি বীজ ডিলার ২৩ জন কমবেশি, বিসিআইসি সার ডিলার ৩০ জন, কোল্ড ষ্টোর ০৩টি। নাসারী সংখ্যা সরকারী ০২ টি । ৩ টি সরকারি বিএডিসি খামার প্রকল্প রয়েছে। মেহেরপুর সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ধুমকেতু জানান, এক সময় মেহেরপুর মহকুমা ছিল। পরবর্তীতে এটি মেহেরপুর জেলা হিসেবে পরিচিত পায়। মেহেরপুর মানুষের কাছে হয়তোবা গুরুত্বপূর্ণ
মেহেরপুর সদর থানায় মীমাংসা চলাকালীন দু’পক্ষের সংঘর্ষ। মেহেরপুর প্রতিনিধি । মেহেরপুর সদর উপজেলার আলমপুর খোকসা সড়কের পাশে লাল শাক শুকানো নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে কথা কাটাকাটি করা নিয়ে ঝামেলা হয়। এক পক্ষ অভিযোগ করে বলে বিপুল পরিমাণ লাল শাকের বীজ তসরুপ করে ফেলা হয়েছে। পরবর্তীতে এবিষয় নিয়ে সদর থানার কম্পাউন্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন ঘরে মীমাংসায় বসে উভয় পক্ষ। মীমাংসায় চলাকালীন সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহদারা খান আলমপুর ও খুকশা গ্রামবাসীদের সমঝোতা করে দেয়। পরে গ্রামবাসীদের থানার বাহিরে চলে যেতে বলা হয়। জানা গেছে, আলমপুর ও খেকসা সড়কে শুকাতে দেওয়া বিপুল পরিমাণ লাল শাকের বীজ তসরুপ করে দিয়েছিলো দুর্বৃত্তরা এই নিয়ে লাল শাকের বীজ এর মালিক শিক্ষক কমর উদ্দিন অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নামে মেহেরপুর সদর থানায় গত সোমবারে একটি মামলা দায়ের করে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদি ও বিবাদীদের নিয়ে মেহেরপুর সদর থানার মধ্যে সেতুবন্ধন নামের একটি গোল ঘরে মীমাংসায় বসে পুলিশ সদস্যসহ ও গ্রামবাসী । মীমাংসা চলাকালীন সময়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয়। সেই সময়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি শাহদারা পরিস্থিতি সামাল দেয়। এতে দুই গ্রামের দুজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন হলো খোকসা গ্রামের বক্স এর ছেলে কলী ও আলমপুর গ্রামের ইসমাইল এর ছেলে সাহাজাহান । লাল শাকের বীজের মালিক শিক্ষক নেতা কমর উদ্দিন জানান, আগের দিন বৃষ্টির কারণে রাস্তার পাশে বীজগুলো রেখে দেওয়া হয়। পরে রাতের আঁধারে কতিপয় ব্যক্তিরা সেইসমস্ত বীজ রাস্তার দু’পাশের ধান, গম এবং ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে নষ্ট করে। এতে তার অনেক টাকা বীজ নষ্ট হয়েছে বলে শিক্ষক নেতা কমর উদ্দিন জানান। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি শাহ দারা খান পিপিএম জানান, দুই গ্রামবাসী মিমাংসার জন্য থানায় আসে। মিমাংসা শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি করে। আমি খবর পেয়ে যাই বাহিরে চলে আছি এবং ঘটনা সামাল দিই।