বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন গাংনীর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী
এম চোখ ডট কম, ডেস্ক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোনের উপর হামলার মামলার আসামি গাংনীর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। বুধবার উচ্চালত থেকে তারা জামিন পান। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদের মধ্যেই তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসর্ম্পণ করতে হবে।
আগাম জামিন প্রাপ্তরা হলেন, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু, ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশা, বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমল, সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য যুবলীগ নেতা মজিরুল ইসলাম, গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, সাবেক ছাত্রনেতা পৌর যুবলীগের দফতর সম্পাদক জুবায়ের হোসেন উজ্জল, সাবেক ছাত্রনেতা বিপ্লব হোসেন, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজু আহম্মেদ, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশিকুজ্জামান পিন্টু, ওবাইদুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ইয়ারুল ইসলাম ও রাশিদুল ইসলাম।
মঙ্গল ও বুধবার (১৮,১৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ তাদের ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে দায়রা জজ মেহেরপুরের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট হুমায়ুন কবির।
গেল ৩০ জুলাই গাংনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জড়ো হয়। এসময় তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ১৯ আগষ্ট মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি রেজওয়ানুল হক ইমন বাদি হয়ে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সন্ত্রাস দমন আইনে দায়েরকৃত মামলায় এজাহার নামীও ছাড়াও অজ্ঞাত শতাধিক আসামি করা হয়। এজাহার নামীয় আসামিরা আওয়া লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হয়ে জামিন পেয়েছেন এবং আরও কয়েকজন হাজতবাসে রয়েছেন বলে জানা গেছে।