তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, এম চোখ ডট কম:
মেহেরপুর সহ আশেপাশের মানুষের আকৃষ্ট করে মুজিবনগর কম্প্লেক্স। পর্যটকরা পেয়ে থাকেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার স্বাদ। দূরদূরান্ত থেকেও পর্যটকরা আসেন। ঈদ সহ বিশেষ দিনগুলোতে বাড়ে পর্যটকদের ভিড়। তবে পর্যটকদের নিরবিচ্ছিন্ন ঘোরার জন্য নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। মুজিবনগরে পর্যটকদের সাজ নেই।
ঈদের নামাজ শেষে জেলার তিনটি বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা। তাদের মধ্যে বেশি উপস্থিতি দেখা যায় ঐতিহাসিক মুজিবনগরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আর বাকি একদিন কিন্তু গত ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনের পর জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের আর কোন পদক্ষেপ নেই ঈদের ছুটিতে আসবে এমন পর্যটকদের জন্য। বাগানের ভিতরে রয়েছে ঝড়ে পড়ে থাকা আমের স্তুপ, যেগুলো ঈদের দিন পর্যন্ত পচে দুর্গন্ধ তৈরি হবে। মেহেরপুরবাসী নিরুপায় হয়েই এমন পরিবেশেও ছুটির দিনগুলো পরিবার পরিজনের সাথে ঘুরেফিরে সময় কাটাতে যান। এই ঘোরার মাঝেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে। দীর্ঘদিন পর ঘুরতে আসা মানুষের জন্য বিভিন্ন খেলনা সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। তবে পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা থাকলে দর্শনার্থীদের জন্য ভালো হয়।
ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী রেজাউল হক জানান, চুড়ি, দুল, খোপার ফুলসহ মেয়েদের ও ঘরকন্নার জিনিসপত্র সাজিয়ে বসে আছেন। দীর্ঘ ১২ বছর এই মুজিবনগরেই ব্যবসা করছেন। সিজন শেষ তাই এই ঈদে দর্শনার্থীদের কাছে মালামাল গুলো বিক্রি করতে পারলে আপাতোত টাকাগুলো বেরিয়ে আসবে। আবার শীতের শুরুতেই নতুন করে ব্যবসায় মালামাল তুলবে। একই কথা জানালেন ব্যবসায়ী জনি হোসেন ও মোজাম্মেল হকসহ বেশ কয়েকজন।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকারের যোগাযোগ করার চেষ্টা করার পরও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল জানান, ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে মুজিবনগরে ঘুরতে আসা সকলের নিরাপত্তায় পেট্রোল টিম, মুজিবনগর কমপ্লেক্সে সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
মুজিবনগরে পর্যটকদের সাজ নেই
336
previous post