এম চোখ ডটকম, মুজিবনগর: দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধি শফিউদ্দিনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান, একই গ্রামের মৃত হেকমত গাইনের ছেলে মোঃ বজলুর রহমান ও আফেজ উদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ সাজেদুল ইসলাম একই ধারায় ৫ লাখ টাকা করে মানহানীর পৃথক পৃথক ৩টি মামলা করেছেন। গত ২৯ অক্টোবর/২২ তারিখে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় “মেহেরপুর-মুজিবনগর বাইপাস সড়কের হেড়েগাড়ীতে মসজিদ তৈরির নামে চাঁদাবাজী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৭ নভেম্বর/২২ তারিখে সাংবাদিক শফিউদ্দিনের নামে ওই মামলা করা হয়। মামলায় মোট ২ জন আসামীর মধ্যে ১নং আসামী করা হয়েছে শিবপুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে রবিউল ইসলামকে। মামলার ধারা ঃ ৫০০, ৫০১, ৫০২, ৫০৬ (!!) পেনাল কোড। সাংবাদিক শফিউদ্দিনের নামে মামলার খবরে সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহার দাবী করেছেন।
জানাা যায়, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে রবিউল ইসলাম একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান, একই গ্রামের মৃত হেকমত গাইনের ছেলে মোঃ বজলুর রহমান ও আফেজ উদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ সাজেদুল ইসলাম সহ প্রায় ১৫ জনেরে বিরুদ্ধে উল্লিখিত স্থানে মসজিদ না করার স্বার্থে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মেহেরপুর, জেলা পরিষদ, মেহেরপুর ও মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত আবেদন করেন। উল্লিখিত অফিসগুলো উক্ত আবেদনপত্র রিসিভ করেন এবং রিসিভ কপিতে সিল-স্বাক্ষর করেন। উক্ত অভিযোগ পত্রের রিসিভ কপি পেয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধি শফিউদ্দিন সংবাদ প্রকাশ করেন। দৈনিক মাথাভাঙ্গায় গ্রামবাসীর পক্ষে শিবপুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে রবিউল ইসলামের মতামত প্রকাশিত হলেও মুজিবনগর প্রতিনিধি শফিউদ্দিনের ব্যক্তিগত কোন মতামত পত্রিকাটিতে প্রকাশিত হয়নি।
এমতাবস্থায় সাংবাদিক শফিউদ্দিনের নামে মামলার ঘটনায় মেহেরপুর জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়েছেন।