মেহেরপুর জেলায় গরুর মাংস ৬৮০, খাসির মাংস ১ হাজার ।। না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী
এম চোখ ডট কম, মেহেরপুর :
মেহেরপুর জেলায় প্রতি কেজি গরুর মাংস খুচরা পর্যায়ে ৬৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজি দর পুননির্ধারণ করা হয়েছে। নিত্য পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রতিনিধি, মাংস বিক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে এই দর নির্ধারণ করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক।
নির্ধারিত এই দর উপেক্ষা করে কেউ যদি বেশি দরে বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতা প্রকাশের হুশিয়ারি করেছেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বিষয়ক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, আমরা সকলেই ভোক্তা। যারা মাংস বিক্রি করেন তারাও অন্যান্য পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা বা ভোক্তা। তাই সব ভোক্তার কথা চিন্তার মধ্যে রাখতে হবে। অল্প সংখ্য কিছু খামারী কিংবা মাংস বিক্রেতার স্বার্থ দেখতে গিয়ে বিপুল সংখ্যক ভোক্তার স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। যৌক্তিক দর সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে। সবার কথা চিন্তা করেই আজকের এই দর নির্ধারণ করা হল।
আশেপাশের জেলার মাংসের দরের উদাহরণ টেনে মাংস বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, নির্ধারিত এই দরের বেশি দরে কেউ মাংস বিক্রি করলে আমাদের কাছ থেকে কেউ ছাড় পাবে না। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ৬৪৪ টাকা কেজি দর নির্ধারণ করেছে। আমরা যৌক্তিকতা বিবেচনায় মেহেরপুর জেলার জন্য ৬৮০ টাকা কেজি নির্ধারণ করলাম। ভোক্তাদের প্রতিও মাংস বিক্রেতাদের দায়িত্ব রয়েছে। মাত্র ২০ টাকা ছাড় দিতে গিয়ে আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। একটু ভাবুন আমাদের ভোক্তাদের কথা।
নির্ধারিত দরে মাংস কেনাবেচনার পাশাপাশি নিরাপদ মাংস নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসক শামীম হাসান আরও বলেন, বেশি দরে মাংস বিক্রির চেয়েও বড় অপরাধ হলো রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করা। মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর কোন পশুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কঠোরতা দেখানোর নিদের্শ দেন তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন, তানভীর হাসান রুমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, মেহেরপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, চেম্বার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু হানিফ, ক্যাব মেহেরপুর শাখা সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন, বারাদি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান ও ধানখোলা বাজার কমিটির সভাপতি তামজিদুর রহমানসহ বিভিন্ন বাজারের মাংস বিক্রেতারা।
প্রসঙ্গত কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯ টি কৃষি পণ্যের যে দর নির্ধারণ করেছে তার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে যৌক্তিকতা বিবেচনায় গরু ও খাসির মাংসের দর পুনঃনির্ধারণ করা হয়।