এম চোখ ডট কম, মেহেরপুর :
মেহেরপুর জেলা প্রসাশকের মোবাইল নম্বার ক্লোন করে ওই নম্বর দিয়ে চাঁদাদাবি করা হতো বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে। ডিসির নম্বর দেখে অনেকেই ফাঁদে পা দিয়েছেন। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর মূল হোতা গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ। অবশেষে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরান নামের এক ব্যক্তিকে। এ ঘটনার সাথে জড়িত প্রমাণপত্র নিশ্চিত করেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম ইমরান হোসেন হিরা (২২)। সে বরিশাল জেলার পিরোজপুর থানার দুর্গাপুর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে। পেশায় সে কারখানা শ্রমিক বলে জানায় পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর নিয়ে আসে।
এদিকে এ ঘটনায় স্বস্তি ফিরে এসেছে ভুক্তভোগীদের মাঝে। ডিসি ও ইউএনওদের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে এর আগেও চাঁদিবাজি হয়েছে। তবে ওই ঘটনাগুলোতে জড়িত কেউ শনাক্ত কিংবা আটক হয়নি। ইমরান গ্রেফতার পুলিশের একটি বিশেষ সফলতা হিসেবে দেখছেন তাই ভুক্তভোগীরা।
রোববার দুপুরে মেহেরপুর পুরিশ সুপার রাফিউল আলম প্রেস বিফ্রিংয়ে ডিসির মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোনের মূল হোতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ইমরান হোসেন হিরা শ্রমিক হলেও মোবাইল ও ল্যাপটপে যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। তার কাছ থেকে একটি কম্পিউটার ও ৩ টি এনড্রয়েড ফোন জব্দ করা হয়েছে। প্রযুক্তির অপপ্রয়োগ করে সে জেলা প্রশাসকের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে চাঁদাবাজি করে আসছিল।
প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খান, ডিআইওয়ান ফারুক হোসেন।
গ্রেফতারকৃত ইমরানের নামে ইতিপূর্বেও মাদক ও চুরির ৪ টি মামলা রয়েছে। তবে সে একা নাকি কেনো চক্র এমন কাজ করছে তা তদন্Í সাপেক্ষে বলা যাবে বলে সংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেক্ষ্য, গেল ৭ ফেব্রুয়ারী মেহেরপুর জেলা প্রসাশকের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন জনের সাথে টাকার দাবী করা হয়। সে ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারন ডায়েরী ও পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে ইমরানকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে মেহেরপুর জেলা পুলিশ।