মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়রসহসহ ২৮ জনের নামে মামলা
এম চোখ ডটকম, মেহেরপুর : মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহাফুজুর রহমান রিটন, যুগ্ম-আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানসহ ২৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে জেলা যুবদলের নেতা ইমন বিশ্বাস । আজ রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক শারমিন নাহার মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসিকে এফআইআর ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইমন বিশ্বাস তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেন “দক্ষিন এশিয়ার কুখ্যাত তিন নরঘাতক, মোদী, সুচি এবং হাসিনা। প্রথমজন গুজরাটের কসাই হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে, দ্বিতীয়জন আরাকানের ডাইনী হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে আর তৃতীয়জন নিজ দেশে ৫শত লোককে গুম করে শাপলা চত্ত্বরে আলেমদের হত্যা করে লাশ গুম করেন। মাঝে মাঝে বিরোধীদের গুম করবার কারণে গুমকুমারী হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন।”এর জের ধরে ঐ রাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা যুবদল নেতা ইমন বিশ্বাসের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে তাকে রাস্তায় পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে যখম করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় তারা। অচেতন অবস্থায় পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
পরে ইমন বিশ্বাস সুস্থ হলে তাকে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা দিলে পুলিশ তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে থানায় গিয়েও অভিযোগ করতে চাইলে থানা রাজনৈতিক কারণে মামলা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ ইমন বিশ্বাসের। আসামীদের হত্যার হুমকি থাকায় আমি আদালতেও মামলা করতে পারিনি।এ ঘটনার মামলায় প্রধান আসামী সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহাফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ঐ ভুক্তভোগি।
বাদির পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক সদর থানাকে এফআইআর ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।