50
সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের সাথে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা গাংনীর দলীয় কার্যালয়ে মতবিসানিময় করেছেন।
এম চোক ডটকম,গাংনী: সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের সাথে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা গাংনীর দলীয় কার্যালয়ে মতবিসানিময় করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর ২ গাংনী আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুর রাজ্জাক মাস্টার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহহেল মারুফ পলাশ, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়ামিন আলী বাবলু,, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুু, দলের দফতর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাহারবাটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মহিলা দলের নেত্রী আসমা খাতুনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ও বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় সচেতন হওয়ার আহবান জানান। ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরীর জন্য দলের উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন তিনি।
চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৩০৯৩৮ জন এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশী মানুষ। মশক নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে এবং দল ও জনগণকে সচেতন করতে অতীতের মতো আধুনিক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ( বিএনপি) নির্দেশে আমজাদ হোসেন দলের নেতাকর্মীদের সাথে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। দলকে সংগঠিত ও জনগণের কাছে দলের পজিটিভ অবস্থান তুলে ধরতে দলের নেতাকমীদের প্রতি আহবান জানান। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি মতবিনিময় সভায় জনাব আমজাদ হোসেন জানান,দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা একটা স্বৈরশাসকের অধীনে ছিলাম এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জেল জুলুম মামলা মোকাবেলা করে আজকের অবস্থানে এসেছি। তিনি বলেন হাসিনার সরকার দেশের সকল সেক্টর লুটপাট করে দেওলিয়া করে দিয়েছে। তিনি জানান বারবার আমার অফিসে হামলা করেছে ও আমাকে সহ নেতাকর্মীদের উপর অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে ওঠেছি। ছাত্রদের আন্দোলনে অনেক ছাত্র জনতা নিহত হয়েছে আওয়ামীলীগ ও পুলিশের গুলিতে। তিনি সকল প্রতিকুল অবস্থা কাটিয়ে দলকে কার্যকর ও জনবান্ধব করতে হবে। তিনি জানান,আওয়ামীলীগের অর্থলুট, ব্যাংক লুট, মানুষ হত্যা, মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ সহ সকল অপকর্মের কারণে তারা দেশ ছেড়ে তারা পালিয়ে গেছে। তিনি জানান, একটি দল কি পরিমাণ অপকর্ম করলে দলের প্রধানসহ সকল এমপিসহ সেই দলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। দলের নেতাকর্মীদের জনগনের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান। । নেতাকমীদের সতর্ক করে বলেন,কোন রকম অন্যায় অবিচার,চাদাবাজি বা খারাপ কাজ করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে । তিনি বলেন আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনাদের প্রতি পরামর্শ দলকে এখন সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বিগত ১৭ বছর যাবৎ তার উপর আওয়ামীলীগের জুলুম ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পুজা মন্ডপে কেউ যাতে নাশকতা করে পুজা মন্ডপ নস্ট না করতে পারে সেদিকে দলের সকল নেতাকর্মীদের সজাগ দৃস্টি রাখার আহবান জানান। সকলকে ব্যাক্তিগত গ্রুপ না করে বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি আস্থা রেখে দলের নেতাকমী হিসেবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশমত দলের কোন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যেন ভাঙ্চুর,চাদাবাজি বা কোন কিছু দখল করতে যায় তবে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলের সকল নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। তিনি জানান এখনও দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন আমরা এখনও বিজয় অর্জন করিনি আপনারা ধৈর্য্য ধরে সকল ষড়যন্ত্র মোবাবেলা করে আগামী নির্বাচনে দলের বিজয় ছিনিয়ে আনবেন।