৬ বছর পর নিজ পরিবার ফিরে পেলো মানসিক প্রতিবন্ধী সাইফুল ইসলাম।
সােহাগ মন্ডল মুজিবনগর : ৬ পর আগে হারিয়ে গিয়েছিল মানসিক প্রতিবন্ধী সাইফুল ইসলাম। মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজন সাইফুলকে খুঁজতে ৬ বছর পথে পথে ঘুরছিল। অবশেষে সৃষ্টিকর্তার দয়ায় এবং মানুষের সহযােগিতায় প্রতিবন্ধী সাইফুল ফিরে পেলাে স্বজনদের। সাইফুলের বয়স এখন ৩০ বছর। ৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়ার পর সব কিছু ভূলে গেলেও রক্তের বাধন কখনও ছিন্ন হয়নি। স্বজনদের দেখা মাত্রই সে অতি সহজে চিনে নিতে পারে। প্রতিবন্ধী সাইফুল ঢাকার গাজিপুর জেলার কাপাসিয়া থানার মির্জানগর গ্রামের বাসিন্দা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই), সাইফুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক পরিবারের হাতে তুলে দেয় মেহেরপুরের মুজিবনগর আনসার- ব্যাটালিয়ানের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, সাইফুল গত এক বছর ধরে মুজিবনগরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতাে। বিশেষ করে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের গেট হতে ভবরপাড়া কবরস্থান পর্যন্ত বেশি চলাফেরা করে বেড়াতাে।
স্থানীয় আজমেরী হোটেলের মালিক হাসেম আলী প্রতিদিন তিন বেলা তাকে খাবার দিতেন। খামার সময় হলেই সাইফুল
হােটেলে এসে হাজির হতেন।
এ কারণে হােটেল মালিক হাশেম আলীর সাথে সাইফুল ইসলামের একটি হৃদ্রতা তৈরী হয়েছিল। হাশেম আলীর সাথে মেলামেশার কারণে গাজীপুরের তার নিজ ঠিকানার কথা বলেন সাইফুল।
হাসেম আলী বিষয়টি মুজিবনগরে কর্মরত ব্যাটালিয়ন এর লেন্স নায়েক আব্দুল মালেককে অবহিত করেন।
সাইফুলকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পােস্টও দেন।
ওই পোস্ট দেখে সাইফুল এর বাবা বকুল মিয়া ছুটে আসেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার মির্জানগর গ্রাম থেকে মুজিবনগরে । বাবা বকুল মিয়াকে দেখা মাত্রই সাইফুলের মধ্যে আনন্দ অশ্রুর সৃষ্টি হয়।
আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বাবা বকুল মিয়ার হাতে সাইফুল ইসলামকে তুলে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার মিরাজুল ইসলাম, আনসার ও ব্যাটালিয়ন কোম্পানি কমান্ডার রবিউল ইসলাম, ১৪ আনসার ব্যাটালিয়নের লেন্স নায়ক আব্দুল মালেক, লেন্স নায়েক আব্দুল মালেকসহ ব্যাটালিয়নের সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এদিকে, সাইফুল ইসলামকে ফিরে দেয়ার সহযােগিতাকারি হােটেল মালিক হাশেম আলীসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন সাইফুলের বাবা বকুল মিয়া।