মেহেরপুর জেলার অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনো নিয়ে যে বার্তা দিলেন মেহেরপুর জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাহিদ মাহমুদ।
এম চোখ ডটকম, গাংনী : বর্তমানে আমাদের সমাজে অনলাইন জুয়ার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনোর রাজধানী খ্যাত রাশিয়ার এই ব্যাধি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় বর্তমানে বাংলাদেশের অনলাইন জুয়ার রাজধানী হিসবে পরিচিতি লাভ করেছে মেহেরপুর জেলা। এই জেলাই অনলাইন জুয়ার আসক্তি আমরা তরুণ ছাত্র সমাজের ভিতরে লক্ষ্য করছি। একটা কথা স্পষ্ট করতে চাই আমি এই অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনোকে কোনভাবেই এটাকে সাপোর্ট করিনা। অনলাইন ট্রেডিং এর মাধ্যমে আমাদের দেশে টাকা ডলারে পরিবর্তন করে অন্য দেশে এই অর্থ সহজেই পাচার করছে আসছে একটি চক্র। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে কোনভাবে আমাদের এই সোনার বাংলা থেকে অর্থ পাচার হতে দেব না।
আমাদের এই জেলার তথা বাংলাদেশের তরুণেরা কোথায় মাঠে খেলা করবে! তা না করে চলে যাচ্ছে জুয়া ও ক্যাসিনোর রাজ্যে এবং আমরা আরও লক্ষ্য করছি যে এই অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পা দিয়ে অসংখ্য মানুষ জমি জায়গা, বাড়ি-ঘর, গৃহ-বধুর সোনার অলংকার পর্যন্ত বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। মেহেরপুরে এমনও ঘটনা আছে এই অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে গলায় দঁড়ি পর্যন্ত দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তরুণ ও যুব সমাজকে এমন ভয়াবহ ব্যাধি থেকে বের করে আনতে হবে। এই জুয়ার যে ভন্ড সম্রাটরা মেহেরপুরে ঢুকে গেছে আমরা এই ভন্ড সম্রাটদেরকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য পুলিশ-প্রশাসন এবং যৌথবাহিনীর চলামান বর্তমানে ডেভিল হান্ট অপারেশনের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য যৌথবাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই নিয়ে আমাদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে বিভাগ, বিভাগ থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত একটি সেল গঠন করার প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছি। যদি অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনো প্রতিরোধ সেল গঠন করা যায় তাহলে আমরা এই অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনোকে সমূলে উৎপাটন করতে পারবো বলে মনে করছি।
এই অনলাইন জুয়া কিভাবে বা কোন পন্থায় মানুষ ব্যবহার ?
প্রথমতো এরা অনলাইন ট্রেডিং করে এবং ট্রেডিং এর মাধ্যমে এই ডলার সাপ্লাই করে। এই ডলারটা আমাদের দেশে থেকে বিভিন্ন মানি এক্স-চেঞ্জারের এর মাধ্যমে দেশের টাকা ডলারে কনভার্ট করে পরবর্তীতে এই ডলার পাচার করে নিয়ে যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
মেহেরপুর জেলার এই অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনোর লিস্ট হাতে পেয়েছি। ৫০ জনের মতো রাঘব বোয়াল রয়েছে এবং আরো ১৫০ থেকে ২০০ জনের অধিক একটি নামের তালিকা আমি হাতে পেয়েছি। এই নামগুলো আমরা ফিল্টারিং করছি যেন কোন নিরপরাধ ব্যক্তি এই তালিকার আওতায় না পড়ে ।
আর যদি প্রয়োজন মনে হয় মামলা করতে হবে অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে! আমি ব্যক্তিগতভাবে মামলা দায়ের করতে প্রস্তুত আছি এবং আমার মেহেরপুর জেলার প্রতিনিধিদের সকলকে আহ্বান জানাবো এটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে । আমি আমার জায়গায় থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছি এই ব্যাধি থেকে ছাত্র ও যুব সমাজকে বের করে আনবো এবং ছাত্রছাত্রী ও যুব সমাজকে অবসরে খেলার মাঠে ও গল্পের বইয়ের পাতায় ফিরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছি । আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আমি চেষ্টা করব এবং আমি আমার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল সহযোদ্ধাদের পাশে চাই ও সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সহযোগিতায় আমরা একসাথে মিলে এই সামাজিক ব্যাধিকে প্রতিহত করবো এবং মেহেরপুর জেলাকে অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনোর মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।