মজনুর রহমান আকাশ, এম চোখ ডট কম :
ঋতুরাজ বসন্ত। আর এ বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য সব সময় আনচান করে বাঙালির মন প্রাণ। বিগত কয়েক বছরে সেটি আর চোখে পড়েনি মেহেরপুরের গাংনীতে। করোনা মহামারী বাঙালির মনকে বিষিয়ে তুলেছে। তেতো হয়ে গেছে সব উৎসবের ইমেজ। তাছাড়া তথ্য প্রযুক্তির যুগে মুঠো ফোনের মাধ্যমে একে অপরের শুভেচ্ছা জানানোর কারণে ঋতুরাজ বসন্তকে আর ফুল ফোটাতে হয় না। যার প্রভাব পড়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের মাঝে। বিকিকিনি না হওয়ায় সবাইকে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এমনটিই জানিয়েছেন ফুল ব্যবসায়িরা।
ফেব্রুয়ারী মাসে তিনটি উৎসব ধরা হলেও পহেলা ফাগুন আর ভালবাসা দিবস এখন একই দিনে পালন করা হয়। আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উৎসবকে ঘিরে ফুল ব্যবসায়িরা চড়া মুল্যে ফুল কিনে আনে। বছর দুয়েক আগেও এ দুটি উৎসবে ফুল ব্যবসায়িরা বেশ লাভবান হয়েছেন। কিন্তু পরপর দুবছর তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। মহামারী করোনার কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কোন শিক্ষার্থী আসছে না। আবার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র গুলো থেকেও দর্শনার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফেসবুক টুইটার হোয়াট্স অ্যাপ আর ক্ষুদে বার্তায় বাসন্তী শুভেচ্ছা জানানোর কারণে কেউ আর ফুল কিনতে চান না। আর অপেক্ষাও করতে হয়না প্রকৃতির ফুল ফোটানোর।
গাংনী উপজেলার বিলাসী ফুল ঘরের স্বত্বাধিকারী মামুন পারভেজ জানান, বসন্ত উৎসবের কারণে প্রায় ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন রকম ফুল এনেছিলাম। কিন্তু অর্ধেকও বিক্রি হয়নি। এদিকে ভালবাসা দিবসের কারণে চড়া দামে ফুল কিনতে হয়েছে। একই কথা জানালেন টু স্টার ফুল মেলার শাহিন ও শাহেদ। তিনি আরো জানান, ফুল সাজানো আছে। অনেকেই এসে ছবি তুলে তা বন্ধুদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরিবারের অনুশাসন ভেঙ্গে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারে নি। ফলে ফুল বিক্রিতে মন্দা ভাব হয়েছে।
গাংনী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রমজান আলী জানান, প্রতিবারই বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে। করোনা মহামারীর কারণে সেটি করতে পারেন নি ভিভিন্ন সংগঠন। ফলে পুষ্পের চাহিদাও নেই।
ঋতুরাজ বসন্তের ছোঁয়া লাগেনি ॥ লোকসানে ফুল ব্যবসায়িরা
277
previous post