এম চোখ ডট কম:
দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। রিকশা চালিয়ে বাবা যা আয় করেন তাদের সংসারে টানাটানি। সংসারের হাল ধরতে এগিয়ে এলো তাই ছোট্ট শিশু ইমরান। হাওয়াই মিঠা সংগ্রহ করে তা ফেরি করে বিক্রি কাজ মন্দ নয় তার কাছে। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারেও মোটামুটি স্বচ্ছলতা এসেছে।
ইমরান হোসেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজিপুর গ্রামের রিকশাচালক ইন্তাজ আলীর ছেলে। কাজিপুর মধ্যপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হলেও করোনার কারণে আবারও স্কুলে যাওয়া বন্ধ।
মেহেরপুর জেলা শহরসহ বিভিন্ন প্রান্তে দেখা মেলে ইমরানের ফেরি করে হাওয়াই মিঠা বিক্রির দৃশ্য। শিশুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এ মিষ্টি। প্রতি পিস এর দাম ১০ টাকা। শিশুদের বায়না মেটাতে অভিভাবকরা কিনে দেন এই মিষ্টি। তাই ইমরানের ক্রেতার অভাব নেই। এই মিষ্টি বেচে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করে ইমরান।
ইবমরান জানায়, গতবছর পুরোটাই স্কুল বন্ধ ছিল। তখন ব্যবসা শুরু করি। বাবা ঢাকায় রিকশা চালায়। তিনি যা আয় করেন তা দিয়ে সংসার ঠিক মত চলে না। মিষ্টি বিক্রির টাকা সংসারের কাজে লাগতেছে। যা আয় হয় তা বেশ ভালোই।
লেখাপড়ার বিষয়ে ইমরান জানায়, এবার ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলাম। স্কুলে যাওয়া শুরুর কয়েক দিন পরেই আবার বন্ধ হয়ে যায়। তাই আবারও ব্যবসা শুরু করেছি। স্কুল শুরু হলে আবার স্কুলে যাব। লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যবসাটাও চালু রাখবে বলে জানায় ছোট্ট শিশু ইমরান।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, গেল বছর পুরোটাই স্কুল বন্ধ থাকার ফলে অনেকেই ঝরে গেছে। ছাত্রীদের বেশিরভাগ বিয়ে হয়েছে আর ছাত্রদের অনেকেই ব্যবসাসহ নানা হাতের কাজ শেখায় যোগ দিয়েছে। ফলে এবার স্কুল শুরু হলেও ছাত্র-ছাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে।
423
previous post