গাংনীতে আবারও পুকুরের মাছ চুরি ।। ক্ষতির পরিমাণ ২০ লক্ষাধিক
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মাঠের পুকুর থেকে আবারও মাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দফায় ৫ হাজারেরও বেশি পাঙ্গাস মাছ চুরির ঘটনায় পুকুর মালিক মশিউর রহমান ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও তদন্তে এখন আলোর মুখ দেখেনি বলে জানিয়েছেন পুকুর মালিক।
জানা গেছে, জানা গেছে, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান তার নিজ গ্রাম জোড়পুকুরিয়া পোড়ার মাঠে কয়েকটি পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষ করেন। প্রতিদিনের খাদ্য আর প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় মাছগুলো বিক্রি উপযুক্ত হয়ে উঠছিল। এর মাঝেই একটি পুকুর থেকে দুই হাজারের বেশি পাঙ্গাস মাছ চুরি হয়। পুকুরটিতে আড়াই হাজারের উপরে পাঙ্গাস মাছ ছিল। মাছ চুরির নানা সন্দেহের পর সোমবার দুপুরে পুকুরে জাল টান দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
এদিকে প্রথম দফায় দুই হাজার পাঙ্গাস মাছ চুরির বিষয়টি সামনে আসার পর এখন আরও দুটি পুকুর থেকে ৫ হাজারের অধিক মাছ চুরির বিষয়টি সামনে এসেছে। সব মিলিছে মশিউর রহমান ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, প্রতদিন আড়াই হাজার পাঙ্গাস মাছের খাদ্য দেওয়া হতো ওই পুকুরটিতে। খাবার দিতে গেলে মাছ সব এক জায়গায় চলে আসে। মাছের এই অবস্থান থেকে মাছের নানা তথ্য পাওয়া যায়। গেল কয়েকদিন ধরে খাবার দেওয়ার পর কিছু পরিমাণ খাবার পুকুরেই ভাসছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছিল মাছের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। নিশ্চিত হতে জাল টানা হয়। এর পরেই নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আনুমানিক সাড়ে ৩ হাজার কেজি মাছ চুরি হয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা। এর ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহে আরও দুটি পুকুর থেকে ৫ হাজারের অধিক পিস পাঙ্গাস মাছ চুরির বিষয়টি সামনে এসেছে।
ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, মাছ চুরির বিষয়টি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। তবে পুলিশের তদন্তে কোন অগ্রগতি জানতে পারেননি পুকুর মালিক। ফলে তার অন্যান্য পুকুর থেকেও মাছ চুরির আশংকা দেখা দিয়েছেন। অন্যদিকে ওই এলাকার সব পুকুর মালিকদের মাঝে মাছ চুরির আতংক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ফসল ও মাছ রক্ষার বিষয়ে আইন সহায়তা তেমন মিলছে না। পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন, মাছ চুরি এবং ক্ষেতের ফসল কেটে তছরুপ করার ঘটনা এখন অহরহ। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তদন্তে কোন ঘটনারই নেপথ্য কারণ এবং ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা উন্মোচন হয়নি। ফলে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে যারা কৃষি উৎপাদন সার্কেল ঠিক রেখেছেন সেইসকল চাষী বা উদ্যোক্তাদের অনেকের পথে বসতে হচ্ছে। দ্রæততম সময়ের মধ্যে মাছ চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি তাই ভুক্তভোগীদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিত কুমার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বের সাথেই দেখা হচ্ছে।