গাংনীতে স্কুলের গাছ বিক্রির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
এম চোখ ডটকম,গাংনী: গাংনী উপজেলার ধানখোলা মাঝের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম শাহীন মিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি পুরাতন পেও গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি গত মাসে কোন প্রকার রেজুলেশন বা সরকারী অনুমোদন ছাড়াই গাছ বিক্রি করে দেন। পুরাপুরি নিজের সিদ্ধান্তে গাছ বিক্রি করে এবং বিক্রিত টাকার একটি অংশ স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক (ফতু)কে ৭ হাজার টাকা প্রদান করেন।
ধানখোলা গ্রামের স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ৩০ বছরের বেশি বয়সী একটি পেও গাছ। গাছটি অনেক বড় এবং গাছের কাঠও পাকা। গাছটি প্রায় ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা আরও বলেন বিক্রির বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না এবং এ নিয়ে কোনো লিখিত অনুমোদনও গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গাছ বিক্রির অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে ওই জমিটিও স্কুলেরই নয় বলে জানিয়েছেন ধানখোলা মাঝের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম (শাহিন মিয়া)। তিনি বলেন জমি মাপামাপির পর ওই জমিটি স্থানীয় ফতুর আলীর হয়। সেই ব্যক্তি গাছটি বিক্রি করেছেন আমার এবিষয়ে জানা নেই।
এদিকে স্থানীয় আজিজুল হক ফতু জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমিটি মেপে গাছটি স্কুলের মধ্যে পড়লে সে গাছ বিক্রি করে দেয়। তবে আমাকে তিনি পরে ৭ হাজার টাকা দিয়েছে।
গাছটির ক্রেতা কাঠ ব্যবসায়ী ধাখোলা গ্রামের শফিরুল ইসলাম বলেন স্কুল কতৃপক্ষ গাছটি বিক্রি করেছে। আমি ক্রয় করি। তবে দাম জানতে চাইলে শফিরুল সটকে পরেন। এবং এবিষয়ে আর কথা বলতে চাইনি।
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ওবাইদুল্লাহ জানান, এভাবে গাছ বিক্রি বা কাটা যায় না। গাছ কাটতে হলে সরকারী ভাবে অনেক ধাপ পার হতে হবে। আমরা খোজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তবে স্থানীয় সচেতন মহল এ ঘটনার তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।