এম চোখ ডটকম,গাংনী: স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার গড়তে চেয়েছিল প্রবাস ফেরত যুবক রফিকুল। কিন্তু বিধি বাম। স্ত্রীর পরোকীয়া সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার মতো অভিশপ্ত পথ বেছে নিয়েছে সে। শনিবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানর হুকের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন রফিকুল।
মৃত রফিকুল ইসলাম মেহেরপুরের গাংনীর কাষ্টদহ গ্রামের ইদু বক্সের ছেলে।
মৃত রফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি ডালিম জানান, সংসারের সুখের জন্য জিবন জীবিকার তাগিদে রফিকুল ইসলাম সৌদি আরব গমন করেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী সালমার পরোকীয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে রফিকুলের ভাতিজা সুমনের সাথে। দুজনের গোপন অভিষার জেনে যায় পরিবার ও প্রতিবেশিরা। সেই সাথে জানতে পারেন রফিকুল। অবশেষে সব কিছু ত্যাগ করে বছর তিনেক আগে দেশে ফিরে আসেন তিনি। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে রফিকুল সব কিছু মেনে নেন এবং স্ত্রী সালমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তার পরও পরিবারের লোকজনের কারনে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে রাখেন।
স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করলেও সালমা গোপনে সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। স্ত্রী সালমাকে সুপথে আনতে ভাতিজা সুমনকে সাত মাস আগে দুবাইতে পাঠিয়ে দেন রফিকুল। তার পরও গোপনে সম্পর্ক রাখে সালমা। বিষয়টি জানা জানি হলে রফিকুল ও সালমার মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সালমা রাগ করে চলে যায় তার বাপের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিখা গ্রামে। পরিবারের লোকজন সালমাকে মেনে নিতে না চাইলেও রফিকুল স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু সালমা স্বামী রফিকুলের সাথে কোন কথা বলেন না। সে পরোকীয়া প্রেমিক সুমনের সাথে ঘর বাঁধার জন্য ব্যাকুল।
গত শনিবার এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটি হলে দুজন দুই রুমে অবস্থান করে। আজ রোববার সকালে রফিকুলের মরদেহ ঘরের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন। স্ত্রীর পরোকীয়া সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করেছেন তার পরিবার।
গাংনী থানার ওসি(তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হলে ও পারিবারিক ভাবে কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।