এম চোখ ডটকম: মাদকসেবীদের কাছে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত পেয়েছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বর। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরে কোন আলোর ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা না থাকায় মাদক সেবীরা নানা ধরনের মাদক সেবন করে থাকে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র জানায়, দির্ঘদিন যাবত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরে আলোর ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া নিরাপত্তা প্রহরীও থাকে না। উপরন্ত পুলিশের টহলও সীমিত। এ সুযোগে মাদকসেবীরা নিশ্চিন্তে মাদক সেবন করে। অপর একটি সুত্র জানায়, কমপ্লেক্স চত্ত্বরে বসবাস করে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তারাও মাদক সেবন করে। এদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে অবাধে মাদক সেবন করে। এদিকে নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় এবং পুলিশ টহল না থাকায় রোগী দেখার ছলে রোগীদের ওয়ার্ডের করিডোরে গিয়ে ফেনসিডিল সেবন করে বোতল ফেলে দেয় নিচে। নেশার টাকা যেগাতে অনেক সময় রোগীদের মালামাল চুরি করে। মাঝে মাঝে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। ঝামেলা এড়াতে কেউ পুলিশের কাছে নালিশ করে না। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুলিশি টহল থাকে। তার পরও রোগি দেখার ভান করে মাদক সেবনের ঘটনা ঘটতে পারে। টহল জোরদার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বর ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ফেনসিডিলের ও অ্যালকোহলের বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। হেরোইন ও ইয়াবা সেবনের ফোয়েল পেপার এবং গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদি। টোকাইরা ওই বোতল কুড়িয়ে নিচ্ছে আবার অনেকেই বোতলের মধ্যে পানি পুরে তা সেবন করছে। রোগীদের স্বজনরা জানান, খাবার পানি সংগ্রহের জন্য নীচে নামতে হয় ও ওষুধ কিনতে ফার্মেসীতে যেতে হয়। এসময় মাদকসেবীরা নানা সময় উত্যক্ত করে ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। নার্সরাও বাসা থেকে আসতে ও যেতে ভয় পান। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান লিটন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরে আলোর ব্যবস্থা করা হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
মাদকসেবীদের কাছে নিরাপদ আশ্রয় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর
written by Meherpurer Chokh
0 comment
261
previous post