359
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
গাংনীতে সরকারি চাল নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড চাউল ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলামের দোকানে সরকারি চাউলের সন্ধান মিলেছে। এই চাউল নিয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তুলকালাম হয়। সরকারি চাউল অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছে এমন খবরে সেখানে যায় সাংবাদিকরা। ভিড় বাড়ে সাধারণ মানুষের। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এই চাউলের আসল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে প্রশাসন। কাবিটা কর্মসুচীর চাল বৈধ প্রক্রিয়ায় কিনে কেন তুলকালামের ঘটনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীরা।
সরকারি চাল এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম জানান, দোকানে সরকারি চাউল পাওয়া গেছে। তবে একটি প্রকল্পের বরাদ্দ আদেশ (ডিও) প্রশাসনকে দিয়েছেন চাউল ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম। বরাদ্দ আদেশ অনুযায়ী তিনি চাউল কিনতে পারবেন। তাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কোন কারণ নেই। তবে ডিও সঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-খাদ্যশস্য) কর্মসুচির অধীনে গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা আইল মাঠের রাস্তা ডব্লিউ বি এম করণসহ মাটি দ্বারা উন্নয়নের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাথুলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য (সদস্য) আনারুল ইসলাম এ প্রকল্পের চেয়ারম্যান (পিআইসি)। গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জণ চক্রবর্তী জানান, কাবিটার চাউল বিক্রির বিধান রয়েছে। চাউলের বিষয়ে ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী চাউল বিক্রি করা হয়েছে। চাউল ব্যবসায়ী মইহকের কাছে তিনি বিক্রি করেন। চাউল বিক্রির টাকা দিয়ে রাস্তা উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। কাবিটা হচ্ছে কাজের বিনিময়ে টাকা। প্রকল্পের সমস্ত খরচের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য বিক্রি করে কাজ সম্পাদন করতে হবে। এই স্বাভাবিক নিয়মেই চাউল বিক্রি করেছেন পিআইসি। গাংনীর আরও খবর চাউল ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম জানান, চাউল ব্যবসায়ী মইহকের কাছ থেকে তিনি বরাদ্দ আদেশ (ডিও) কিনেছেন। টাকার বিনিময়ে তিনি চাউল পেয়েছেন। সরকারি নিয়ম মেনেই ক্রয় করা হয়েছে এবং বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুল হক স্বপন বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসার নিয়মেই এমন চাউল কিনে থাকে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চাউল কিনে ব্যবসায়ী কেন হেনস্তর শিকার হবে ? প্রশ্ন করেন তিনি। যদি কোন ব্যবসায়ী বেআইনী কাজ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু কেউ যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।