111
মেয়েকে বাঁচাতে প্রাণ দিলেন মা। স্পট ঢাকার মাইলস্টোন কলেজ
এম চোখ ডট কম, ডেস্ক:
ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন মেহেরপুরের গাংনীরে মেয়ে উম্মে হাবিবা রজনী। বিমান বিধ্বংস হওয়ার পর শিশু কন্যাকে বাঁচাতে শ্রেণী কক্ষের দিকে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। শ্রেণি কক্ষে আটকা পড়ার পর শিশুটি বেরিয়ে আসতে সক্ষম। আগুন থেকে শিশুটি রক্ষা পেলেও অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা সিএমএস হাসপাতালের বার্ন ইউনিটি ইউনিটে মারা যান রজনী।
স্কুলের ভেতরে গিয়ে বাচ্চাকে খোঁজার সময় মাথার উপরে পড়ে আগুনের গোলা। এতে তার সারা শরীরে আগুন লেগে যায়। ক্ষত বিক্ষত হয় মাথা।
নিহত রজনী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাওট গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে।
রজনীর স্বামী জহিরুল ইসলামের ব্যবসায়িক সুত্রে ৩ সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। জহিরুলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাদিপুর গ্রামে। সেখানেই তার মরদেহ দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানা গেছে।
জানা গেছে, রজনী ও তার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবার। এক পর্যায়ে মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় সন্ধান মেলে। দুর্ঘটনার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা যে কক্ষের গ্রিল ভেঙ্গে বাচ্চাদের বের করেছিলেন তার মধ্যে ছিল রজনীর শিশুটি। তবে তার মাকে খুঁজে পায়নি। রাতে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে দগ্ধ মরদেহের সন্ধান মেলে।
এই ঘটনায় রজনীর পিতার পরিবার ও স্বজনদের মাঝে বইছে শোকের ছায়া।
এদিকে আজ ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে রজনীর মরদেহ নেওয়া হয়েছে স্বামীর বাড়িতে। সেখানে জানাযা শেষে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।