73
মেহেরপুরে আদালত চত্ত্বর থেকে আদম ব্যাপারিকে অপহরণ করতে গিয়ে গ্যাড়াকলে ১০ জন
এম চোখ ডট কম, মেহেরপুর :
মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের চত্ত্বর থেকে নুরুজ্জামান নামের এক আসামিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে জামিনে মুক্তি পাওয়া নুরুজ্জামান নামে ওই আসামিকে টেনেহিঁচড়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে অপহরণকারীরা।
নুরুজ্জামান আদম ব্যাপারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত প্রাঙ্গণে হঠাৎ একদল লোক নুরুজ্জামানকে ঘিরে ফেলে ও বেদম মারধর করে। পরে তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তোলে। এসময় কয়েকজন উৎসুক মানুষ তাদেরকে বাধা দিলে তাদেরও মারধর করা হয়। আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ বলে চিহ্নিত করে মারধরে মাইক্রোবাসে তুলে ফেলে তারা।
এদিকে আদালত চত্ত্বর থেকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার খবর পায় পুলিশ। মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু করে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় মাইক্রোবাসটি আটক করতে সক্ষম হয়। ওই গাড়ি থেকে নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করা হয় ও অপহরণের সাথে জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের লিটল হোসেন মেম্বর (৪২), জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মিঠুন আলী (৩২), জিয়ারুল ইসলাম (৪৫), রামদেবপুর গ্রামের পারভেজ মোস্তাক (৫১), আসাদুল ইসলাম (৪৫), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার
তেকালা গ্রামের জিন্নাত হোসেন (৩২), সাপাত আলী (৫০), রাজ্জাক (৬৫) প্রাগপুর গ্রামের শিপলু (৪৫) ও মাইক্রোবাস চালক হোসেন আলী (২৫)।
তেকালা গ্রামের জিন্নাত হোসেন (৩২), সাপাত আলী (৫০), রাজ্জাক (৬৫) প্রাগপুর গ্রামের শিপলু (৪৫) ও মাইক্রোবাস চালক হোসেন আলী (২৫)।
অপহৃত নুরুজ্জামানের ভাই রাজু আহমেদ জানান, নুরুজ্জামান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মৃত আফজাল মালিথার ছেলে। তার বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের পারভেজ আশরাফ একটি মামলা করেন। মামলাটি ২৭ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন নিয়ে, যা বিদেশ গমনের জন্য নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বাদী পারভেজ আশরাফের দাবি, নুরুজ্জামান টাকা নেওয়ার পর বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে মেহেরপুর জজ আদালতে মামলা করা হয়।
রাজু আহমেদের দাবি, পারভেজ আশরাফ ও তার সহযোগীরা এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আদালত এক মাসের জন্য নুরুজ্জামানের জামিন মঞ্জুর করলে বাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও আদালত চত্বর থেকে তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালায় ও বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে মাইক্রোবাসসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে। অপহরণের ঘটনায় ১০ নামের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন নুরুজ্জামান। ওই মামলার আসামি হিসেবে ১০ জনকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।