বামন্দীতে ককটেল বিষ্ফোরণ ও উদ্ধার ॥ বিএনপির ছয় নেতাকর্মী গ্রেফতার
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনী বামন্দীর একটি মাদ্রসায় একটি ককটেল বিষ্ফোরণের পর ৫টি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের গোপন বৈঠকের কাছে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এই ককটেল বিষ্ফোরণ বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের অদুরের মাদ্রাসাটিতে এ ঘটনা ঘটে। নাশকতার সাথে জড়িত সন্দেহে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- বামন্দী বাজারের কিরণ ট্রেডার্সের মালিক মহিবুল ইসলাম পলাশ, ইটভাটা ব্যবসায়ী আব্দুল আল হাসান শাওন, নিশিপুর গ্রামের শাহ আলম, বামুন্দি সেন্টারপাড়ার আশরাফুল ইসলাম, বেতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হক, কড়ুইগাছি গ্রামের মনিরুজ্জামান।
আটককৃতরা বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানায় পুলিশ। তবে গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বামন্দীর ওই মাদ্রসায় গোপন মিটিং করার খবর পেয়ে গাংনী থানার এসআই মাসুদুর রহমান ও বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ইসরাফিল আলম একাধিক নিয়ে দল সেখানে ছুটে যায়। এসময় বৈঠককারীরা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি রামদা, ৫টি অবিষ্ফোরিত ককটেল এবং লাঠিসোটা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ওই ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর যারা পালিয়ে গেছে তাদেরকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
এদিকে গত রাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল আলম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতার হওয়া শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এ মামলার এজাহারে। এছাড়াও এ মামলায় আরও ২০/২২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, যেকোন মূল্যে এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা হবে। নাশকতা করে কেউ পার পাবে না। এলাকার মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে। গ্রেফতার ছয় জনকে নাশকতার মামলার আসামি হিসেবে আজ শনিবার মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ওসি।
এদিকে ঘটনার পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে বিবৃত্তি দেন গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার কয়েকটি ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসুচী পালনে আমরা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসুচী ব্যহত করতেই ককটেল বিষ্ফোরণের সাজানো ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন : গাংনীতে বিএনপির প্রস্তুতি সভা