গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি \ গাংনীতে আলোকপ্রজ্জ্বলন
মেহেরপুরের চোখ ডট কম, গাংনী:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের মতো এতবড় গণহত্যা অন্য কোন দেশে সংঘঠিত হয়নি। পাকহানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাকাÐের শিকার হয়েছে এদেশের বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মুক্তিকামী মানুষ। যাদের অপরাধ ছিল; তারা পাকবাহিনীর নির্যাতন থেকে এদেশের মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু নিরপরাধ এসব মানুষের উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিল পাকশাসকরা। দেশে গেল বছর থেকে জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত হলেও আন্তর্জাতিকভাবে এখনও গণহত্যার স্বীকৃতি মেলেনি। তাই দ্রæততম সময়ের মধ্যে গণহত্যার স্বীকৃতি এবং পাকশাসকদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান গাংনীর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সুরঙ্গণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে গণহত্যা দিবস পালন আলোক মিছিল ও শহীদ মিনারে আলোকপ্রজ্জ্বলন করা হয়।
গাংনী শহরের কাথুলী মোড় থেকে আলোক শোভাযাত্রা শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার চত্ত¡রে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতের গণহত্যা স্মরণ করা হয়।
সুরঙ্গণ পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক রফিকুর রশিদ রিজভী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, প্রভাষক মুরাদ হোসেন, গাংনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি তৌহিদ-উদ-দৌলা রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, সাবেক সভাপতি রমজান আলী, রফিকুল ইসলাম পথিক, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শাহ প্রমুখ।