গাংনীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড
এম চোখ ডটকম,গাংনী: গাংনীতে এসএসসি পরীক্ষার হলে প্রশ্নের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকের একটি পেজে। আর ভিডিও ধারণ করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে। প্রশ্ন ফাঁসের আশংকা দেখা দেওয়ায় ভিডিও ধারনের বিষয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে। রোববার সকালে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে গাংনী উপজেলার সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের উপ কেন্দ্র কেএনএইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকটি কক্ষ থেকে এ ভিডিও ধারনের ঘটনা ঘটে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কেএনএইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় উপকেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষের পরীক্ষা চলার দৃশ্য। যেখানে শিক্ষার্থীরা বাংলা ১ম পত্র প্রশ্ন পেয়ে খাতায় উত্তর লেখায় ব্যস্ত। ভিডিওতে প্রশ্ন ও উত্তর লেখার দৃশ্য বিদ্যমান। এ ভিডিওতে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দীকা সেতু এই কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শন করছেন। এদিকে দুপুরে একটি ফেসবুক পেজে এই ভিডিও আপ হলে তা অনেকের নজরে পড়ে। পরীক্ষা চলার সময় এ ধরনের ভিডিও ধারনের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেকে। পরীক্ষা গ্রহণের দৃশ্য ধারণ করার সুযোগে প্রশ্নের দৃশ্য ধারণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল। সচেতন মহলের মতে, সরকার যখন প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ঠিক সেই সময় এ ধরনের ভিডিও ধারণ করে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করার বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত কি না তা যাচাই করা উচিত। পরীক্ষা কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ এমনকি কক্ষ পরিদর্শকদের জন্যও মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এধরণের ভিডিও ধারণ সরকারী নির্দেশনা পরিপন্থী। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কেন্দ্র সচিব জনান, অনুমতি নিয়েও পরীক্ষা কক্ষে প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর কোন প্রকার ভিডিও ধারণ দুরের কথা ছবিও নিতে পারবে না। খুব প্রয়োজনে ছবি নিতে হলে অবশ্যই সচিবের সাথে দাড়িয়ে রুমের বাহির থেকে নিতে হবে। এবিষয়ে উক্ত কেন্দ্রের সচিব আব্দুল হালিম জানান, ইউএনও এর সাথে আগতদের ভিডিও ধারণ করতে নিষেধ করেছিলাম তখন তারা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে জোর পূর্বক ভিডিও ধারণ করেছে। আমি ইউএনও ম্যাডামকে বিষয়টি অবগত করেছিলাম। এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দীকা সেতু জানান, কেউ সরাসরি কেন্দ্রে ঢুকে ভিডিও ধারণ করতে পারবে না। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকরা যদি ছবি তুলতে চায় তাহলে কেন্দ্র সচিবের কাছে অনুমতি সাপেক্ষে ছবি তুলতে পারবেন তবে কিছু নিয়মের মধ্যে। যদি কেউ এই নিয়ম না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।