এম চোখ ডট কম, গাংনী:
ওরিয়েন্টেশনে আমন্ত্রিত অতিথীরা অনুষ্ঠানে আসলেন স্বাক্ষর করলেন সম্মানী নিয়ে কাজের অজুহাতে অনুষ্ঠান ত্যাগ করলেন। এমনি চিত্র দেখা গেছে গাংনীতে আয়োজিত ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজএবিলিটিজ (এনএএএনডি) এর কর্মশালাতে। সোমবার দিন ব্যাপি এ কর্মশালার আয়োজন করে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজএবিলিটিজ (এনএএএনডি) এর আয়োজনে কর্মশালার আয়োজনের জন্য গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে পত্র প্রেরণ করেন। পত্রে সরকারি কর্মকর্তা, যুব প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রতিনিধি, অটিজম শিশুর অভিভাবক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, রোভার ও মসজিদের ইমামদের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়। যার বরাদ্দ দেয়া হয় এক লাখ চার হাজার টাকা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে স্বীয় ইচ্ছায় অতিথী আমন্ত্রণ করেন। সেখানে ঈমাম ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কোন কর্মীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উপস্থিতিও ছিল না। নিজেদের পছন্দের একজন যুব প্রতিনিধি তৈরী করেছেন। বিভিন্ন সরকারী অফিস ও জনপ্রতিনিধিরা কাজের অজুহাতে নাস্তা ও সম্মানীর প্যাকেট নিয়ে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন। সকাল ৯ টা থেকে কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলার নিয়ম থাকলেও কর্মশালা শুরু হয় বেলা ১১ টায়। আর শেষ হয় দুপুর ২ টার দিকে। প্রশিক্ষক ৫জন থাকার কথা থাকলেও প্রশিক্ষক ছিল মাত্র একজন। অথচ সম্মানী পাঁচ জনেরই দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার জানান, প্রতিটি অফিসের কর্মকর্তা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত আর জনপ্রতিনিধিরাও কাজে ব্যস্ত থাকায় কর্মশালায় পুরো সময় দিতে পারেননি। আবার অনেকেই এসে স্বাক্ষর করেছেন। কারো কিছু বলার থাকে না। তাছাড়া প্রশিক্ষক যোহর নামাজের বিরতী না নিয়ে টানা প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মশালা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এটি কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে কি না জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
গাংনীতে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা শুধু স্বাক্ষরে সীমাবদ্ধ!
236