এম চোখ ডটকম, গাংনী: ভাগ্নে বাবর আলীর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল মামা সিফাত আলীর। এ বিরোধের জের ধরে ভাগ্নেকে ফাঁসাতে ককটেল রাখার চক্রান্ত করে মামা সিফাত আলী। তবে ভাগ্নে নয়, নিজের ফাঁদেই আটকে গেলেন মামা সিফাত আলী। র্যাব-৬ গাংনী ক্যাম্পের সদস্যরা ৩টি ককটেলসহ সিফাত আলী (৫৫) ও তার সহযোগী আব্দুল আলিম স্বপনকে (৩৫) আটক করেছে।
সিফাত আলী গাংনী উপজেলার কুঠি ভাটপাড়া গ্রামের সাকেম মন্ডলের ছেলে। তার সহযোগী আব্দুল আলিম স্বপন কোদালকাটি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
র্যাব ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ভাটপাড়া গ্রামের সিফাত আলী ও বাবর আলী সম্পর্কে আপন মামা ভাগ্নে। মায়ের সম্পত্তির ভাগ নেওয়া কেন্দ্র করে বাবর আলীর সাথে তার মামা সিফাত আলীর বিরোধ চলছিল। সামাজিকভাবে সকলেই ভাগ্নে বাবর আলীর নায্য দাবির পক্ষে ছিলেন। তাই কোনভাইবে ভাগ্নেকে আটকাতে পারছিলেন না সিফাত।
র্যাব জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে বাবর আলীর বাড়িতে ককটেল রাখা আছে বলে জানানো হচ্ছিলো। সোর্স সেজে সিফাত আলী র্যাবকে এ খবর দেয়। বেশ কয়েকদিন ধরে সিফাতের সাথে কথাবার্তায় র্যাব সদস্যদের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়া গ্রামে বাবর আলীর বাড়ির পাশে অভিযান চালায় র্যাব। ঘটনাস্থলে র্যাব সদস্যদের পৌঁছুনোর কিছুক্ষণ আগে সিফাত ও স্বপন ব্যাগে করে ককটলে রাখতে যায়। অভিযান দলের কাছে তাদের সাজানো নাটক স্পষ্ট হয়। ফলে বাবর আলীকে বাদ দিয়ে সিফাত ও স্বপনকে ৩টি ককটেলসহ আটক করে র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভাগ্নেকে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করেছে সিফাত। র্যাবের পক্ষ থেকে সিফাত ও স্বপনের নামে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাদেরকে আদালতে প্রেরণের উদ্দেশ্যে গাংনী থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন র্যাব-৬ এর কর্মকর্তা ফ্লাইট লে. রাসেল আহম্মেদ। সঙ্গে ছিলেন ডিএডি নুরুল আমিন, এসআই প্রদ্যুৎ কুমার ও শহিদুল ইসলাম, পিসি আব্দুস সাত্তার এবং এএসআই ফজলুল হকসহ র্যাব সদস্যরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আব্দুল আলিম স্বপনের বাড়ি কোদাইলকাটি গ্রামে। তবে তিনি ভাটপাড়া কুঠি গ্রামের আসাদুল কসাইয়ের জামাই। ঘরজামাই হিসেবে ওই গ্রামে বসবাস করা সুবাদে সিফাতের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় ককটেল রাখার কাজে স্বপনকে ব্যবহার করে সিফাত।
গাংনীতে ককটেল দিয়ে ভাগ্নেকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন মামা \ ককটেলসহ র্যাবের হাতে দু’জন আটক
297
previous post