224
এম চোখ ডটকম,গাংনী: মোটা অংকের টাকায় কেনা জমি দখল পাচ্ছেন না গাংনীর তেরাইল গ্রামের শরিফুল ইসলাম। জমির মালিক তার নিজস্ব জমি না দিয়ে সড়ক বিভাগের জমি দখল নিতে বলায় বিব্রত বোধ করছেন তিনি। স্থানীয় প্রভাবশালী মেম্বর আজগর আলী ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর মদদে জমির মালিক শরিফুল ইসলামকে বঞ্চিত করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। জানা গেছে, ২৯৫০(সাবেক) দাগে মোট জমির পরিমান ২৭ শতক। জমির প্রকৃত মালিক হাফেজ হালসানা। তিনি তৎকালীন সিঅ্যান্ড বি’র কাছে ৮ শতক জমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ১৯ শতক জমির মালিক হন রইচ উদ্দীন। রইচ উদ্দীন আবারো ৬ শতক জমি বর্তমান সড়ক বিভাগের কাছে বিক্রি করেন। বাকী ১৩ শতাংশের মালিক হন রইচ উদ্দীন। আরএস রেকর্ডের সময় ভূল বশতঃ সড়ক বিভাগের নিকট বিক্রি করা জমি রইচ উদ্দীনের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। এতে জমির পরিমান দাড়ায় ১৯ শতক। পরবর্তীতে রইচ উদ্দীনের ছেলে আমিরুল ইসলাম ওই জমি শরিফুল ও তার স্ত্রী আশুরা এবং ভাই আনারুলের কাছে বিক্রি করেন। শরিফুল ও তার স্ত্রীর অংশ হিসেবে জমির পরিমান হয় ১০.২৫ শতাংশ। কিন্তু জমি বিক্রেতা শরিফুল ইসলামকে ৬.৭৫ শতক জমি প্রদান করলেও বাকি ৩.৫০ শতক জমি প্রদান করেন নাই। আমিরুল ইসলাম সড়ক বিভাগের কাছে বিক্রি করা জমি ভোগ দখল নিতে বলেন। শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি ও তার স্ত্রী যে জমি কিনেছেন সেটি ম্যাপে ও দাগে আছে। কিন্তু আনারুল ইসলাম যে পরিমান জমি কিনেছেন সে পরিমান ওই দাগেও নেই। সড়ক বিভাগের কাছে আগেই বিক্রি করা জমি আনারুলের কাছে বিক্রি করা হয়। অথচ জমি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম আনারুলের জমি দখল দিলেও শরিফুল ও আশুরার জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। আমিরুল ইসলাম সড়ক বিভাগের জমি দখল নিতে বলেন। এ বিষয়ে রেকর্ড কারেকশন করার জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান শরিফুল। তিনি আরো জানান, গ্রামের মেম্বর আজগর আলী ও তার লাঠিয়াল বাহিনী জমি বিক্রেতাকে ইন্ধন দেয়ায় জমি বুঝে পাচ্ছেন না তিনি। আজগর আলী মেম্বর জানান, ওই জমি নিয়ে বেশ কয়েকবার থানা পুলিশের সহায়তায় সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা শরিফুল তা মানতে চাননি। আবারো গত বুধবার উভয় পক্ষের সার্ভেয়ার ও পুলিশের একটি টীম উপস্থিত থেকে জমির মাপজোক করেন ও উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে দেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সালিশ বৈঠকে যাওয়া হয়। তিনি কোন লাঠিয়াল বাহিনী লালন পালন করেন না। জমি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম জানান, জমির কাগজপত্র দেখে শরিফুল জমি কিনেছেন। এখন মিথ্যা অভিযোগ করছেন তিনি। বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও শরিফুল ওই সালিশের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ।