গাংনীতে জুয়েলার্সে চুরির ঘটনায় চার জন গ্রেফতার ।। চুরি হওয়া গয়না উদ্ধার
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কমরদি বাজারে একটি জুয়েলারীর দোকানে চুরির সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গেল রাতে কুষ্টিয়া শহরে ও মেহেরপুরের মুজিবনগরে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া সোনা ও রুপার গয়না।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- করমদি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সুলতান বাদশা (২২), মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের নোমান হোসেন (২০) ও লাল্টু মিয়া (৩০) এবং দায়িরপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে ফজল হক (৪০)।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গেল ২৯ আগষ্ট রাতে করমদি বাজারের বাবু জুয়েলার্সের টিনের ছাদ কেটে গয়নাগাটি চুরি হয়। পুলিশের অভিযানে চুরির মূলহোতা করমদি গ্রামের সুলতান বাদশাকে কুষ্টিয়া থেকে গেল রাতে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে মেহেরপুরের মুজিবনগরের দারিয়াপুর ও বিদ্যাধরপুর গ্রামের পৃথক চালিয়ে অপর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বাবুর জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া সোনার ২৪টি নাকফুল, গলানো সোনা ৩রতি, রুপার বালা ৭ জোড়, ১টি চাঁদি মালা ও ৫ আনা ঝুমকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারের অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন গাংনী থানার এসআই আশিকুর রহমান ও এসআই সোয়েবুর রহমানসহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স। পুলিশের তদন্ত কৌশল ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে প্রধান আসামিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন তিনি।
ওসি আরও জানান, গ্রেফতার সুলতান বাদশা বছরখানেক আগে কুপিয়ে তার শ্বাশুড়ী হত্যা করে। ওই মামলায় জামিনে আছে সে। বাবুল জুয়েলার্সের গয়না চুরির পর তার পূর্ব পরিচিত বিদ্যাধরপুর গ্রামের নোমানের কাছে নিয়ে যায়। নোমানের মাধ্যমে দায়িরপুর বাজারের জুয়েলার্স ব্যবসায়ী নান্টু ও ফজলের কাছে বিক্রি করে সুলতান বাদশা।
জুয়েলার্স মালিকের দায়ের করা মামলায় তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা করার প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।