গাংনীতে বুনো শূকরের কামড়ে আহত সাত
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
বুনো শূকরের কামপড়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- কাজিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৫৫), অঞ্জনা খাতুন (৩০), বিল্লাল হোসেন (৫০), মোহাসিন আলী (২৫), রিপন আলী (২৫), রেহেনা খাতুন (৩৫) ও আব্দুর রশিদ (৫০)।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কাজিপুর গ্রামের মাঠ থেকে একটি শূকর আকস্মিক গ্রামে প্রবেশ করে মানুষকে তাড়া করে। শূকর তেড়ে আসতে দেখে মানুষজন দ্বিগবিদিক ছুটতে থাকে। এর মধ্যেই কয়েকজনকে কামড়ে দেয় বুনো শূকরটি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জড়ো হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে শূকরটি মাঠের দিকে পালাতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী পিটিয়ে শূকরটিকে মেরে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী কবির হোসেন ও নাজেরা খাতুন জানান, গেল দুই বছর আগে অন্য জেলা থেকে কয়েকজন মানুষ একদল শূকর চরাতে কাজিপুর গ্রামে আসে। সেসময় একটি বাচ্চা মাঠে রয়ে যায়। মাঠে বসবাস করতে গিয়ে শূকর ছানাটি হিংস্র হয়ে উঠেছে। মাঠে লোকজন একলা পেলেই সে তেড়ে আসতো। এভাবে গ্রামে ঢুকে আক্রমণের ঘটনা এটাই প্রথম।
আহত সিরাজুল ইসলাম জানান, মাঠ থেকে হঠাৎ বাড়ির মধ্যে এসে বুনো শূকরটি মহিলাদের উপর আক্রমণ করে। তাদের রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার পায়ে কামড়ে দেয়।
মেহেরপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিম হায়দার বলেন, মাঠে এই মুর্হূতে কোন উঠতি ফসল না থাকায় শূকরটি হয়তো খাবারের সন্ধানে গামে প্রবেশ করেছিল। মেরে না ফেলে জীবিত অবস্থায় ধরা গেলে প্রাণীটিকে অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া যেত।
এদিকে আহত সাত জনকে প্রথমে গাংনী এবং মেহেরপুর সদরে এবং পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছে চিকিৎসকরা।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ জানান, শূকরটি বন্য। তার কামড়ে নানা প্রকার সমস্যা হতে পারে। যার যথাযথ চিকিৎসা স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে নেই তাই কুষ্টিয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।