গাংনীতে হঠাৎ তরমুজের দাম বৃদ্ধি মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে
এম চোখ ডটকম,গাংনী: গাংনীতে অস্বাভাবিক ভাবে তরমুজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ক্রেতারা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কে দায়ী করলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন অন্য কথা। তারা বলছেন, বাজারে তরমুজ সংকটের কারনেই কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। গাংনীর বেশ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বুধবার থেকে তিন দিন আগে বাজারে তরমুজ ছিল মাত্র ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। আবার কোথাও কোথাও ৫০ থেকে ৬০ টাকা অথবা এক সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল। অথচ দুই একদিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। গাংনী শহরের তরমুজ ব্যবসায়ী শাহীন জানান, তিনি বরিশাল এলাকা থেকে তরমুজ এনেছেন। যদিও পিচ হিসাবে এনেছেন তবুও তিনি কেজি ধরে বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি তরমুজের দাম নিচ্ছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। অপর একজন ব্যবসায়ী জানান তিনি খুলনা থেকে তরমুজ এনেছেন। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন ৫০ টাকা করে। তিনিও পিস হিসেবে তরমুজকে নিয়ে বিক্রি করছেন। দুজন ব্যবসায়ী জানান, যদিও পিস হিসাবে নেওয়া হয়েছে তথাপি কেজি হিসাবে বিক্রি করলে ক্রেতা সাধারণরা ঠকবে না। তরমুজ কিনতে আসা গৃহবধূ নাজমা জানান, তিনি ৮ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনেছেন। প্রতি কেজি হিসেবে দাম দেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। মাত্র কয়েকদিন আগে ২০ টাকা ২৫ টাকা কেজি ধরে তরমুজ পাওয়া গেছে। ২-১ দিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম আকাশ ছোয়া হাওয়াই খুব প্রকাশ করেছেন তিনি। একই কথা জানালেন তরমুজ রে তাকওয়া গ্রামের রাব্বি ও থানাপাড়ার আব্দুল আলিম। কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে তরমুজের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষক পর্যায়ে থেকেই দাম বাড়ানো হচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে হাত বদল হয়ে মহাজন পরে ফড়িয়া ও তারপর খুচরা বাজার। ফলে দাম একটু বেড়েছে। বাজার মনিটরিং ও তরমুজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতুকে কয়েকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি তাছড়া উপজেল প্রশাসনের কোনো প্রদক্ষেপ চোখে পড়েনি।