গাংনীর সেই রেজাউলের জায়গা হল বাগেরহাটে
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসের আলোচিত সেই অফিস সহকারি রেজাউলের জায়গা হল বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জে। জনস্বার্থে তাকে গাংনী থেকে বদলি করে মোরেলগঞ্জে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ঘুষসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত রেজাউল ইসলামের সাজা কি শুধুই বদলি ? না সুষ্ঠু সাজা হবে ? এ প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপ পরিচালক মসলেম উদ্দীন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে- গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিসের সহকারি কাম কম্পিউটর মুদ্রাক্ষরিক রেজাউল ইসলামকে বদলি করে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারি শারমিন সুলতানা। সাময়িক এ আদেশ পুনরানাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ আগামি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক মোসলেম উদ্দীন বলেন, ঘুষ গ্রহণসহ নানা অভিযোগ তদন্ত করা হয় রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে তাকে বদলি করা হয়েছে। একইসাথে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব শিক্ষা অধিদপ্তরের।
প্রসঙ্গত, গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবু তাহের গত ১৪ ফেব্রæয়ারী পেনশনরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। নিয়মানুযায়ী আবু তাহেরের স্ত্রীর নামে পারিবারিক পেনশন চালুর জন্য শিক্ষা অফিসে ধর্না দেয় তার পরিবারের লোকজন। এসময় তাদের সাথে সাক্ষাত হয় অফিস সহকারি কাম কম্পিউটর অপারেটর রেজাউল ইসলামের সাথে। দ্রæত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন রেজাউল। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা এবং সংসার খরচের কথা চিন্তা করে ঘুষ দিতে রাজি হন প্রয়াত শিক্ষক আবু তাহেরের ছেলে। মৌখিক চুক্তিমত দুই হাজার টাকা দিয়ে যায় রেজাউলের হাতে। তবে সময়মত কাজ না হওয়ায় ঘটনাটি জানাজানি হয়। এছাড়াও শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে নানাভাবে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রেজাউলের বিরুদ্ধে।