মেহেরপুরের চোখ ডট কম, গাংনী:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা (৫৬) আর নেই। শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি অইন্নাইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে মেয়ে, ৫ ভাইবোনসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। গোলাম মোস্তফা গাংনী পৌরসভার শিশিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, শারীরিক নানা অসুখে ভুগছিলেন গোলাম মোস্তফা। শনিবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে পরিবারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গেছে, গোলাম মোস্তফা গাংনী হাসপাতাল গেটের সামনের তুরিন ফার্মেসির মালিক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে সাধারণ সম্পাদকের পদ ফাঁকা হলে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০২২ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বছন তিনেক আগে তার স্ত্রী মৃত্যু বরণ করেন। তার ছেলে মোনায়েম শাহরিয়ার তুরিন একজন ডাক্তার এবং মেয়ে জারিন তাসনিক মিম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়রা।
গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ওমেদ আলী বিশ্বাসের ছয় ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে গোলাম মোস্তফা তৃতীয়। তার ছোট ভাই জামিরুল ইসলাম টিক্কা গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি এবং গাংনী পৌরসভায় কর্মরত। অপর ভাই শরিফুল ইসলাম লাটু তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বর ও আওয়ামী লীগ নেতা। আজন্ম আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন গোলাম মোস্তফা। পিতার হাত ধরে পরিবারের সকলেই দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের শাসনের সময় গাংনী শহরের একটি সংঘর্ষ হয়। এর পর র্যাবের অভিযানে গোলাম মোস্তফাকে গাংনীর প্রধান সড়কে নির্মমভাবে পেটানো হয়। অতিরিক্ত মারধরের কারনে গুরুতর আহত হন গোলাম মোস্তফা। তার পর থেকেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দো’আ কামনা করেছেন ছোট ভাই জামিরুল ইসলাম টিক্কা।
পরিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রাত ৯.৩০ টায় শিশিরপাড়া গ্রামে মরহুমের প্রথম জানাজা। রাত দশটায় সহড়াতলা গ্রাম দ্বিতীয় জানাযা শেষে গ্রামেই পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
303