চক্রান্তের ফাঁদে মুজিবনগর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মান ॥ প্রতিবাদে রাজপথে এলাকাবাসী
এম চোখ ডট কম, মুজিবনগর :
নিজেকে প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্য ও ভূমিহীন পরিচয় দিয়েছেন; যা মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ। যার মাধ্যমে তিনি আটকে রেখেছেন মুজিবনগর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মান কাজ। মসজিদ নির্মানের জন্য ৪২ শতক জমি ইতিমধ্যে জমির মালিকরা প্রদান করলেও ওই ব্যক্তি ২ শতক জমি দিতে নারাজ। আর এই ২ শতক জমি ঠেকাতেই তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। যার প্রতিবাদে স্থানীয় মুসল্লিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নেমেছেন রাজপথে । আজ রোববার দুপুরে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সামনের প্রধান সড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মান করা হয়েছে। যা ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। মেহেরপুর জেলা উপজেলা এবং গাংনী উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান হলেও মুজিবনগর উপজেলার মসজিদ নির্মান হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তর মসজিদ নির্মানের জন্য এলাকার মানুষকে জমি দিতে অনুরোধ করেন। এ আহবানে সাড়া দিয়ে মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস অফিসের পাশে রাস্তার পশ্চিম দিকে জায়গা দিতে এগিয়ে আসেন জমির মালিকরা। তাদের কয়েকজনের কাছ থেকে ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা তৈরী করে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে এক ব্যক্তির ২ শতক জমি রয়েছে। ৪২ শতক জমির মালিক অধিগ্রহণে সম্পতি হলেও ২ শতক জমির মালিক শুরু করেন ষড়যন্ত্র। অধিগ্রহণ ঠেকাতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, ৪২ শতকের জমির মালিকগণ নিজ নিজ জমির গাছপালা কেটে সরিয়ে নিয়েছেন। আর দুই শতক জমির মালিক তড়িঘড়ি করে অস্থায়ী বাড়ি বানিয়ে শত বছর ধরে বসবাস করছি বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি একজন ভূমিহীন হিসেবে দাবি করেছেন। যা মিথ্যা এবং মসজিদ নির্মান ঠেকানোর ষড়যন্ত্রের অংশ। এলাকার মানুষের বৃহৎ স্বার্থে মসজিদ নির্মান করার জন্য তাকে ওই ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন মানববন্ধের বক্তারা।
এদিকে মানবন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ওই জায়গাতেই মডেল মসজিদ নির্মানের দাবি করা হয়েছে স্মারকলিপিতে। ওই ব্যক্তি যদি ষড়যন্ত্রের জায়গা থেকে সরে না আসেন তাহলে এলাকার মানুষ আরও বৃহৎ কর্মসুচী গ্রহণ করতে বাধ্য হবে জানিয়েছেন মানববন্ধের বক্তারা।
মডেল মসজিদ নির্মান বিষয়ে জানতে চাইলে, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, মুজিবনগর মডেল মসজিদ স্থাপনের লক্ষ্যে আমরা এক বছর আগে প্রস্তাব দিয়েছি। তখন এই জায়গাটি ফাঁকা পড়ে ছিল। কিন্তু হঠাৎ মেরিনা নামের এক মহিলা রাতারাতি ঘর নির্মাণ করেছেন। ঘর নির্মাণে কারও অনুমতি নেননি তিনি। সেই সাথে তিনি সংবাদ সম্মেলনে করেছেন যে তিনি ভূমিহীন। তদন্তে দেখা গেছে তিনি ভূমিহীন নন। মসজিদ নির্মান কাজ ঠেকানোর বিষয়ে উনি যে মিথ্যাচার করছেন তা খুবই দুঃখজনক।
এলাকার মানুষের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, এলাকার মানুষের দাবির বিষয়ে যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মানিকনগর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আহম্মদ আলী, মানিকনগর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম রহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান লাল্টু ও আল মিজুল ও মানিকনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার নুর ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন : স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে নিরাপদ খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সেন্ট্রালের লাইসেন্স বাতিল ও ডা. সংযুক্তাকে গ্রেপ্তারের দাবি