এম চোখ ডটকম,গাংনী:
গাংনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৬৫ লাখ টাকা গ্রহণ করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে। বারবার টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে অবশেষে শিক্ষক কর্মচারীরা অবরুদ্ধ করে সভাপতি শেখ আনিসুজ্জামান লুইচকে। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
শিক্ষক কর্মচারীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তির জন্য তাদের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা। তবে ৩৫ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সভাপতি আনিসুজ্জামান লুইস।
শিক্ষক কর্মচারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি বাঁশবাড়িয়া নামক স্থানে একটি খাস জমিতে স্থাপন করা হয়। বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষকসহ ২৪ জনকে। বিভিন্ন অজুহাতে ওই শিক্ষক কর্মচারী ছাড়াও আরও ৬ জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় মোট ৬৫ লাখ টাকা। টাকা গ্রহণের রশিদও দেন তিনি।
নানা কারণে বিদ্যালয়টি পশ্চিম মালসাদহ নামক স্থানে স্থানান্তর করা হয় ২০২২ সালে। কোন স্বীকৃতি না পাওয়ায় বিদ্যালয়টির শিক্ষক কর্মচারীরা টাকা ফেরতের জন্য সভাপতি আনিসুজ্জামান লুইসকে চাপ দিতে থাকেন। এক রকম বাধ্য হয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। এদিকে বিদ্যালয়টিতে প্রাথমিক অবস্থায় যে সব শিক্ষার্থী ছিল সবাইকে অন্যত্র ভর্তি হওয়ায় শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ধার দেনা ও সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফুসে উঠেন শিক্ষক কর্মচারীরা। সুযোগ খুঁজতে থাকেন বিদ্যালয়টির সভাপতির আগমনের অপেক্ষায়। অবশেষে আনিসুজ্জামান লুইস ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। সংবাদ পেয়ে সকল শিক্ষক কর্মচারীরা তার বাড়িতে উপস্থিত হলে কৌশলে তিনি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। তবে বিধি বাম। শিক্ষকরা তাকে গাংনী উপজেলা চত্ত¡র থেকে ধরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে অবরোধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক শিক্ষকদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন এবং সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন এবং এর ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক জানান, তিনি বাইরে আছেন এবং টাকা আত্মসাতের বিষয়টি শুনেছেন। সন্ধ্যায় ফিরে এসে উভয় পক্ষের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত রাত নয়টার দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাস ভবনে উভয় পক্ষ নিয়ে আলোচনায় বসেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।