Table of Contents
পদ্মা সেতু এশিয়ার কততম সেতু
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। সেতু নিয়ে দেশ বিদেশের মানুষের আগ্রহের সীমা নেই। দেশের টাকায় এতো বড় স্থাপনা নির্মানের ঘটনা এটাই প্রথম। পদ্মা সেতু শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের ইতিহাসেও জায়গা করে নিয়েছে। পদ্মা সেতু এশিয়ার কততম সেতু আর বিশ্ব দরবারে তার অবস্থান কী তা জানাতেই আজকের এই লেখা। এই লেখার মাধ্যমে পদ্মা সেতু সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের গর্বের ও অহংকারের। পদ্ম সেতু এশিয়ার কততম সেতু ? এ প্রশ্নের উত্তর এ লেখার শেষের দিকে পাওয়া যাবে। তার আগে পদ্মা সেতুর সাথে সারা দেশের যোগাযোগের চিত্রটা দেখে নেওয়া যাক।
পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকার সাথে সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলা। শুধু দক্ষিণের জেলাগুলোই নয় সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি আমুল পরিবর্তন এসেছে। দক্ষিণের সাগর সীমান্ত কুয়াকাটা থেকে উত্তরের শেষ সীমা তেঁতুলিয়ার দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে অন্তত নয়টি স্থানে ফেরি পারাপার ছিল।
এর আগে কয়েকটি নদীতে ছোট ছোট সেতু নির্মান এবং সর্বশেষ পদ্ম সেতু নির্মানের ফলে আর কোন ফেরি পারাপার নেই। একইভাবে উত্তর-পূর্ব প্রান্তের জেলাগুলোর সাথে খুলনার যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হয়েছে। সিলেটের জাফলং থেকে খুলনার দূরত্ব ৫৬৫ কিমি। এ পথেও আর কোন ফেরি রইল না।
পদ্ম সেতু এশিয়ার কততম সেতু তা জানার আগে আমরা অন্যান্য বিষয়গুলোতে একটু চোখ বুলিয়ে আসি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় আমরা আনন্দিত: বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর
পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর
মানুষ ও পশু পাখির যেমনি আয়ুষ্কাল রয়েছে তেমনি মনুষ্য নির্মিত ইমারত, সেতু, সড়ক ও বিভিন্ন স্থাপনার নির্দিষ্ট মেয়াদকাল নির্ধারিত হয়। কোন স্থাপনা কতো দিন টেকসই হবে তা নির্ধারিত হয় নির্মান কৌশল ও নির্মান সামগ্রীর সক্ষমতার উপর। তাই পদ্মা সেতু নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরাও এর আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করেছেন। রিকটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভুমিকম্প সহনশীল পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল একশো বছর। পদ্মা সেতু নির্মানের স্তুরে স্তুরে রয়েছে নানা স্থাপত্যশিল্পের ছোয়া।
বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পদ্মা নদীর বুকে সেতু নির্মান করা ছিল অসম্ভব একটি বিষয়। বাস্তব সম্মত একটি মহাপরিকল্পনা আর মানসম্মত সামগ্রী ব্যবহারের কারনে এর জীবনকাল একশো বছর ধরা হয়েছে। যা বিশে^র অন্যান্য বড় সেতুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু
বিশ্বের ১২২ তম স্থান দখল করেছে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু। এর আগে এ অবস্থানে ছিল সুইডেনের অল্যান্ড সেতু। বিশে^র মধ্যে প্রথম সেতু হিসেবে পদ্মা সেতু স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে তৈরী। পদ্মা সেতুর দৈঘ্য ৬.১৫ কিমি। এছাড়াও আরও চারটি বিষয়ে পদ্মা সেতুর অবস্থান বিশ্বে প্রথম। এগুলো হচ্ছে-
১. পানির নিচে ১২২ মিটার গভীরে ৩ মিটার ব্যসার্ধের স্টিল পাইল।
২. ১০ হাজার টন সক্ষমতার ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং। যা ৯ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে পদ্মা সেতুকে সুরক্ষা দেবে।
৩. নদী শাসনে ১১০ কোটি মার্কিন ডলারে দরপত্র। এ কাজে বিশ্বে এতোবড় দরপত্র একভাবে আর কোন দেশের নেই। অপরদিকে অষ্ট্রেলিয়া থেকে যে মাইক্রোফাইন (অতি মিহি) সিমেন্ট এনে ব্যবহার করা হয়েছে সেতু নির্মানে তার ব্যবহারও বিশে^ বিরল।
৪. বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্না দাতা সংস্থা সরে দাঁড়ানোর পর দেশের অর্থে নির্মিত বিগ প্রজেক্ট।
পদ্মা সেতু এশিয়ার কততম সেতু
পদ্মা সেতু এশিয়ার কততম সেতু ? সেতুর বিভিন্ন দিক বিবেচনায় বিশ^ অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। আন্তর্জাতিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এসব পরিসংখ্যান প্রকাশ করে থাকে। সেক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর অবস্থান সম্পর্কে জানতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার সেতু গুলোর মধ্যে নদীর উপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু। এশিয়ার মধ্যে চীনেই রয়েছে বেশ কয়েকটি সেতু। এ সেতুগুলো বিশে^র সেতুর ইতিহাসে প্রথম সারিতে স্থান পেয়েছে। সেই বিবেচনায় পদ্মা সেতুর অবস্থান এশিয়ার মধ্যে বেশ উপরের দিকে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতুর অবস্থান প্রথম। অপরদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম সড়ক সেতুর মধ্যে পদ্মা সেতুর অবস্থান ২৫ তম এবং সব দিক বিবেচনায় এ সেতুটির অবস্থান বিশ্বে ১২২ তম।
পদ্মা সেতু ঢাকার সাথে কতটি জেলাকে সংযুক্ত করবে
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলাকে ঢাকার সাথে সড়ক পথে সরাসরি যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু। বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সবগুলো জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ৪টি জেলা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত হবে।
জেলাগুলো হচ্ছে- বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি। খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা। ঢাকা বিভাগের চারটি জেলার মধ্যে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও মুন্সীগঞ্জ। পদ্মা সেতুর সাথে দেশের সর্বমোট ২১টি জেলা যুুক্ত হয়েছে।
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের জেলার নাম কি
পদ্মা সেতুর অবস্থান দেশের দু’টি জেলায়। উত্তরে মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণে শরিয়তপুর জেলাকে যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু। মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলাকে যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু। যার ফলে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ীর ফেরি পারাপার আর থাকছে না। প্রমত্তা পদ্মায় ফেরি পারাপারে অসহনীয় কষ্ট সইতে হয়েছে দক্ষিণের এসব জেলার মানুষের। ঢাকার সাথে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের জেলা ছাড়াও অন্যন্যা জেলাগুলোর জন্য ব্যবসা ও অন্যান্য বিষয়ে এক সম্ভাবনার দূয়ার উন্মোচিত হয়েছে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
পদ্মা সেতুর বিষয়ে আপনার অনেক তথ্যের প্রয়োজন হতে পারে। আপনি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে বন্ধু মহল কিংবা আড্ডাতে আপনার কাছে প্রশ্ন আসতেই পারে। পদ্মা সেতুর আদ্যপান্ত জানা থাকলে আপনি হবেন ওই আড্ডার রাজা। কাজেই এ লেখাটি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক পদ্মা সেতুর আদ্যপান্ত।
পদ্মা সেতু প্রকল্প একনেকে অনুমোদন ও ব্যয় :
১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরে ২০০৭ সালে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প নামে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে দৈঘ্য বেড়ে সংশোধিত ব্যয় ধরা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ব্যয় বাড়িয়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা চুড়ান্ত ব্যয় হয়। অর্থাৎ পদ্মা সেতুর নির্মান খরচ ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ^ব্যাংক ঋণ সহায়তা থেকে সরে যায়। রে জাইকা, এডিবি ও আইডিবি বিশ^ব্যাংকের পথ ধরে সরে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় দেশের টাকায় নির্মিত হয় পদ্মা সেতু।
মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় ১২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার এবং গ্যাস লাইন ব্যয় রয়েছে। অপরদিকে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ২ হাজার ৬৯৩.২৬ কোটি টাকা।
অন্যান্য ব্যয়ের মধ্যে টোল প্লাজা এবং এসএ-২ ও অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ ব্যয় ১৯০৭.৬৮ কোটি টাকা (১২ কিলোমিটার, দুটি টোল প্লাজা, দুটি থানা ভবন এবং তিনটি পরিষেবা এলাকা)।
সেতু নির্মানে বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হয়েছে। এসব জমির মালিকদের প্রয়োজনীয় ক্ষতি পূরণ দিয়ে পুনর্বাসন ব্যয় ১৫১৫ কোটি টাকা। এছাড়াও ১২৯০.৩ কোটি টাকা ধরা হয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যয়।
নকশা, প্রকল্পের মেয়াদ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান:
আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম (এইসিওএমে) এর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শক কমিটি পদ্মা সেতুর নকশা তৈরী করে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত। চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) মূল সেতু নির্মান করেছে। তবে সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন তৈরীতে দেশীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে।
নদীশাসন :
চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন পদ্মা নদীর ১৩.৮ কিমি নদীশাসন কাজটি সম্পন্ন করে।
সেতুর মূল নির্মান কাজ:
২৬ নভেম্বর ২০১৪ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি। তবে
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পয়েন্টে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এসব কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু নির্মানের মূল সময় ৪৮ মাস হলেও পরবর্তীতে তা কমে ৪৩ মাসে এসে দাঁড়ায়।
পদ্মা সেতুর ধরন ও নির্মাণ উপকরণ: দুইতলা বিশিষ্ঠ পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে।
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য : পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। আর প্রস্থ ৭২ ফুট। যা দেশের সবচেয়ে বড় সেতু। এর আগে প্রথম অবস্থানে থাকে যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। যা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু।
ভায়াডাক্ট ও লেন : পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভায়াডাক্ট ৩.১৮ কিলোমিটার। ভায়াডাক্ট পিলারের সংখ্যা ৮১টি। মাঝখানে রোড ডিভাইডার দেওয়া সেতুটি চাল লেনের সড়ক।
পাইলিং ও পাইলিং গভীরতা: গভীরতা ৩৮৩ ফুট এবং পাইলিং মোট ২৮৬টি।
পিলার ও স্প্যান সংখ্যা : পিলার ৪২টি এবং স্প্যান ৪১টি।
পদ্মা সেতুর রেল লাইন : স্প্যানের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর নিচ তলায় রেল লাইন স্থাপন করা হয়েছে। উপর দিয়ে বাস আর নিচ দিয়ে রেল চলবে।
সংযোগ সড়ক : জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে ১৪ কিমি সংযোগ সড়ক রয়েছে।
জনবল ও রক্ষণাবেক্ষণ : পদ্মা সেতু নির্মানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ কাজ করেছেন। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষণ কাজ করবে সার্বক্ষণিক।
উপসংহার:
পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয় এটি বাংলাদেশের সক্ষমতা ও অহংকারের প্রতীক। যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পদ্মা সেতু নির্মান নিয়ে বহু মতবিরোধ করেছে সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেতু উদ্বোধনী দিনেই পাঠানো হয় শুভেচ্ছা বার্তা। এছাড়াও বিশে^র বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করে শুভেচ্ছা বার্তা জানায়। বিশ্বের বুকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে গর্বের পদ্মা সেতু নির্মানে। এই লেখার মাধ্যমে পদ্ম সেতু এশিয়ার কততম সেতু, পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর, পদ্মা সেতু বিশে^র কততম সেতু, পদ্মা সেতু ঢাকার সাথে কতটি জেলাকে সংযুক্ত করবে, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের জেলার নাম কি ও পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। যা আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের প্রশংসায় বিশ্বের যেসব দেশ
মুজিবনগর একাত্তরের বাংলাদেশ
এখন মহানন্দে চোখের পলকে হোন পদ্মাপার!
-এম এইচ মানিক
mazedulhaquemanik@gmail.com