272
এম চোখ ডটকম, মুজিবনগর : ভরা মৌসুমেও মুজিবনগরে নেই পর্যটক। প্রতি বছরের মতো লোকারণ্য হয়ে থাকার কথা থাকলেও এখন যেন শূন্যতা। হাতে গোনা কিছু পর্যটকের উপস্থিতি আশানুরূপ ব্যবসা হচ্ছে না। বিভিন্ন জেলায় জেলায় নতুন নতুন পর্যটক কেন্দ্র হওয়াসহ নানা কারণে এবার পর্যটক সমাগম কমেছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। ফলে লগ্নি ফিরে আসা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। মুজিবনগর স্টেশনারী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল হক জানান প্রতি বছর মুজিবনগর পর্যটনের কোন কমতি ছিল না কিন্তু হঠাৎ এ বছর মুজিবনগর পযটন শূন্য আমরা স্টেশনারী ব্যবসায়ীরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। মুজিবনগর মূলত তিন মাসের সিজনালী ব্যবসা হয়। আর বাকি মাস গুলো কোন রকম টিকে থাকার সেই সাথে অধিকাংশ ব্যবসায়ী বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋন নিয়ে ব্যবসা করেন তারা ঋন পরিষদ করতে হিমশিম খাবে তাই ভরা মৌসুমে যদি পর্যটন শূন্য থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা অপার বিপদের সম্ভাবনা বলে জানান তিনি। ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান জানান প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস থেকে পর্যটন আসা শুরু করে মূলত আমাদের মুজিবনগর রাজশাহী পর্যটনের চাপ বেশি থাকে অন্যআন্য জেলার বা বিভাগের পর্যটন ও থাকে ভরপুর, আর পর্যটন কে কেন্দ্র করে আমাদের আগাম ব্যবসার মালামাল কেনাকাটা করে রাখি প্রতি বছরের তুলনায় এবারও আমাদের ব্যবসার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কিন্তু পর্যটন না আসায় মুজিবনগরের ব্যবসায়ীরা হতাশায় আছেন। তিনি আরও বলেন মুজিবনগর হচ্ছে ইতিহাসের স্থান ইতিহাস কেন্দ্রিক যে সমস্ত স্থাপনা আছে সেগুলো দেখে ভ্রমণ পিপাসুদের মন ভরছে না যদিও এগুলো শিক্ষানিয় স্থাপনা ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। নতুন কোন স্থপনা না থাকায় অনেকেই মুজিবনগর আসতে ইচ্ছুক না তার পরও আমরা আশা রাখছি। এ বিষয়ে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন জানান মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স আমার বাগোয়ান ইউনিয়নের আওতাধীন কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করছি মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্রে চলতি মৌসুমে লোক সমাগম খুব কম যেখানে প্রতিবছর ভরা মৌসুমে বিভিন্ন জেলা থেকে শ শ পিকনিকের গাড়ি আসে সে তুলনায় এবার একেবারেই নেই তবে এর নির্দিষ্ট কোন কারণ আছে কিনা তা আমার অজানা যেহুতু এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান সে ক্ষেত্রে এখানে যারাই আসে তারা মুজিবনগর কে জানতে মুজিবনগরের ইতিহাস জানতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে তাই এখানে পর্যটন কমে যাওয়ায় নির্দিষ্ট কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় বিভিন্ন পার্ক নির্মাণ হয়েছে তাই দূরে না গিয়ে আশেপাশের জেলায় ভ্রমণ করছেন অনেকে তাই হয়তো মুজিবনগরের পর্যটন কমে গেছে । তিনি আরও বলেন এখনো দুই আড়াই মাস পর্যটন আসার সম্ভাবনা আছে তাই এর ভিতরেও পরিপূর্ণ ভাবে পর্যটন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।