এম চোখ ডট কম, গাংনী:
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ছহিউদ্দীন স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। ২০২২ সালের স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয় মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জল অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ১০ জন ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সিটিউট (বিডব্লিউএমআরআই) প্রতিষ্ঠান হিসেবে পদকের জন্য চুড়ান্ত নামের তালিকায় স্থান পায়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে অনন্য অবদানের জন্য এ স্বীকৃতি পান মরহুম ছহিউদ্দীন। মন্ত্রী পরিষদ থেকে তালিকা ঘোষণার পর জেলার মানুষ ছহিউদ্দীনের পরিবারের সদ্যদের অভিনন্দন ও শুভেজ্ঞা জানান।
সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শফিকুল আলমের উদ্যোগে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। তার চেম্বারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মরহুম ছহিউদ্দীনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোকপাত করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে শুরু করে এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত এবং যুদ্ধ পরিচালনায় তার অবদান অনস্বীকার্য বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, জেলার শীর্ষ রাজনৈতিক পদ, মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক গণ পরিষদ ও সংসদ সদস্য হয়েও ছহিউদ্দীন ছিলেন নিরঅহংকার ও সাদাসিদে মানুষ। ক্ষমতায় থেকেও তিঁনি সম্পদের মোহে আকৃষ্ট ছিলেন না। উপরন্ত নিজের সম্পদ বিক্রি করে তিনি রাজনীতিতে ব্যয় করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর শুধুই কান্নাকাটি করতে সহিউদ্দীন। শোক সামাল দিয়ে তিঁনি বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর বজলুল হুদার ফ্রিডম পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী, মুজিবনগর সরকারি কলেজে প্রভাষক মুরাদ হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ।