এম চোখ ডটকম, মুজিবনগর ঃ “মেহেরপুর-মুজিবনগর বাইপাস সড়কের হেড়েগাড়িতে মসজিদ তৈরির নামে চাঁদাবাজী শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন শিবপুর গ্রামের লোকজন। গতকাল বুধবার বিকেলে “মেহেরপুর-মুজিবনগর বাইপাস সড়কের হেড়েগাড়িতে নির্মানাধীন মসজিদের সামনে তারা ওই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- রবিউল ইসলামকে ভ’মি দখলকারী ও চাঁদাবাজ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে বলেন তিনি ছিলেন ১৯৭১ সালের পর এলাকার নকশাল বাহিনী প্রধান। তিনি অত্র এলাকার লুটেরা, চাঁদাবাজ ও ডাকাত। ডাকাতি মামলার তিনি ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয় শিবপুর গ্রামে ২০ থেকে ২২ ঘর সংখ্যালঘু লোকের বসবাস ছিল। রবিউল ইসলাম তাদের শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে এবং মদ খেয়ে মাতাল হয়ে তাদের বাড়ি গিয়ে সুন্দরী মেয়েদের যৌন হয়রানী করে। তার অত্যাচারে সংখ্যা লঘুরা বর্তমানে গ্রাম ছাড়া হয়েছেন। রবিউল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিপিবন্ধ করার জন্য তার বড় ভাইয়ের ছেয়ে নিজের বয়স এক বছর বেশি দেখিয়ে ভোটার তালিকা করেছেন। এছাড়া অন্যকেও মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেওয়ার নামে অনেকের নিকট থেকে টাকা গ্রহণ ও আত্মসাৎ করেছেন। তিনি পেশি শক্তির বলে নিজ শালাদের সাড়ে ৪ বিঘা জমি জবর-দখল করে নিয়েছেন। তার ভয়ে অত্র এলাকার লোকজন মুখ খুলতে পারে না। তিনি গতকাল বেলা ১১ টার দিকেও নির্মানাধীন মসজিদের পাশের চায়ের দোকানে চাঁদা দাবি করেন ও চাঁদা না পেয়ে জোর করে দোকান বনন্ধ করে দেন ও দোকানদার আমজাদকে মারধর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন শিবপুর গ্রামের গোলাম হোসেন, শুভ, জেপু গাইন ও দোকানদার আমজাদ হোসেন প্রমুখ। এসময় মেহেরপুর ও মুজিবনগরের বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।