মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় গর্ভাবস্থায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
এম চোখ ডট কম, মেহেরপুর :
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবীকাদের অবহেলায় গর্ভাবস্থায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোগীর স্বজনদের দাবি দায়িত্বরত চিকিৎসকের সহায়তায় হাসপাতালের স্টাফদের নিয়ে তাদের মারধরে করে আটকে রাখা হয়েছিলো। পাল্টা অভিযোগ সেবীকাদেরও। তবে তত্বাবধায়ক বলছেন, তদন্ত সাপেক্ষা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাটি গেল রাতে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে।
ভুক্তভোগী মুজিবনগরের রনি ইসলাম জানান, গেল ১জুন ভোরবেলা স্ত্রী রিতা খাতুনের প্রসব বেদনা নিয়ে মেহেরপুর জেনালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তারপর থেকেই সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা যায় তার গর্ভের বাচ্চার বয়স ৩২ সপ্তাহ। শুক্রবার বিকেল থেকেই তার স্ত্রী অবস্থা খারাপ হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি হাসপাতালের সেবীকারা। রাত ৮ টার দিকে তিনি জানতে পারেন গর্ভের সন্তানের কোন হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত তার আল্ট্রাসনোগ্রাফী করতে যান হাসপাতালের পাশের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আলট্রাসনোগ্রাফীর রিপোর্টে দেখা যায় শিশুটি মারা গেছে।
এ সময় রোগীর স্বজন ও সেবীকাদের মধ্যে বাকবিতন্ডতা শুরু হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, সেবীকা ও স্টাফরা তাকে ও তার এক ভাইকে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পরে ঐ কক্ষের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সদর থানা পুলিশের একটি দল এসে তাদের উদ্ধার করে।
এদিকে পরিস্থিতি শান্ত হলে গভীর রাতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ওই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। চিকিৎসকরা তার পেট থেকে মৃত শিশুটি বের করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মঞ্জুরুল হাসান জানান, আর কাছে রাগীটির খারাপের বিষয় কেউ জানয়নি। তবে সেবীকারা চেষ্টা করছেন চিকিৎসা দেয়ার মারা গেলেতো আর কিছই করার থাকেনা।
হাসপাতালের তত্ববধায়ক জানান, শনিবার গাইন বিশেষজ্ঞ দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কেউ মোষী সাব্যস্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন : গাংনীতে ছাত্রী উধাও হওয়ার রহস্য উন্মোচন ॥ আটক তিন যুবকের নামে মামলা ৪ বছরে ক্যাশলেসে যাবে ব্যাংক : গভর্নর