মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভাংচুর, ওয়ার্ড মাস্টার সহ কয়েকজনকে মারধর
এম চোখ ডটকম,মেহেরপুর: : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে স্টাফদের মারধর ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে আলী হোসেন (৭০) নামের এক ভর্তি রোগীর স্বজনরা এ ঘটনা ঘটান। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ জমির মোঃ হাসিবুস সাত্তারের দাবি, পুলিশের সামনেই এ ঘটনা ঘটলে নিরব ভূমিকা পালন করেন তারা। দুপুরেই হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, সেবিকা ও স্টাফদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করা হয়েছে। হাসপাতালালের নার্সিং সুপার ভাইজার নাজমা খাতুন জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আলী হোসেন নামের এক রোগী স্ট্রোকজনিত কারণে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। সোমবার সকালে ঐ ওয়ার্ডে চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আব্দুর রশীদ আলী হোসেনের স্ত্রীকে বাইরে যেতে বলেন। অসূসস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে তিনি বাইরে যেতে রাজি হননি। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা ও অন্যান্য স্টাফদের সাথে বাক বিতন্ডতা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আলী হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন নিশানের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের সকল স্টাফ তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। খবর দেয়া হয় পুলিশে। এ সময় আনোয়ার তার চাচাতো ভাই শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানকে খবর দেয়। তার পরপরই শ্যামপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত হাসপতালে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশের হাসপতালের ওয়ার্ড মাস্টার সেলিম সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ জমির মোঃ হাসিবুস সাত্তারের উপস্থিতিতে ভাংচুর করা হয় হিসাবরক্ষকের টেবিল। হামলার সময় পুলিশের এস,আই তৌহিদ উপস্থিত থাকলেও কোন ভূমিকা নেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তত্বাবধায়ক ডাঃ জমির মোঃ হাসিবুস সাত্তার বলেন, হাসপাতালের স্টাফদের উপর হামলা এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার ঘটেছে। দৃষ্টান্ত মূলক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বার বার এমন ঘটনা ঘটছে। আবারও একই ঘটনা ঘটলো। বিষয়টি নিয়ে আমরা শঙ্কিত। হাসপাতলের সকল চিকিৎসক, সেবিকা ও স্টাফদের নিয়ে একটি জরুরী বৈঠক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালের আবারও সবার সাথে বসে পরবর্তি সীদ্ধান্ত নেয়া হবে। শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, উভয়ের মাঝে ছোট্ট একটি ভূলবোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে সবার কাছে ক্ষমা প্রর্থণা করা হয়েছে। কেন পুলিশের উপস্থিতিতে এ হমলা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে এস.আই তৗহিদ বলেন, খবর পাওয়ার পর আমি একাই ঘটনাস্থলে আসি। কোন ফোর্স না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারিনি।