মেহেরপুরের দরবেশপুরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা।
এম চোখ ডটকম,বারাদী: মেহেরপুর সদর উপজেলার পুরাতন দরবেশপুর গ্রামে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রীতি লতা(২১) নামের এক গৃহবধূ। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে প্রীতি লতা সে পুরাতন দরবেশপুর গ্রামে আকরামুল হকের একমাত্র মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় প্রীতিলতা বর্তমানে মেহেরপুরের তাহের ক্লিনিকে সেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন সময়ে মেহেরপুর সদরের গভীরপুর গ্রামে হাফিজুল ইসলাম এর ছেলে ওসমানের সাথে প্রেমজো সম্পর্ক গড়ে তোলে ওসমান পেশায় একজন পানির লাইনের মিস্ত্রি। অভয় পরিবারের অমতে বছরখানেক আগে তাদের বিয়ে হয় শশুর বাড়ির লোকজন প্রীতি লতাকে মেনে নিতে পারেনি বিভিন্ন সময়ে তার উপর মানসিক নির্যাতন করতো। বিয়ের পর থেকে প্রীতিলতা ৪-৫ বার শ্বশুর বাড়ি গিয়েছে। বেশিরভাগ সময়ে সে বাবার বাড়ি থাকতো সর্বশেষ আড়াই মাস আগে সে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসে ঘটনার দিন সকালে স্বামীর সাথে কলহের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন পরিবারের লোকজন। আত্মহত্যার খবরে এএসপি সার্কেল ও বাড়াতে পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে নেহাতের দাদা জানাই প্রীতিলতা সবার অজান্তে ঘরে ঢুকে সিটকানি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাই প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে নামিয়ে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় রাতে বাদ এশা গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করা হয়।