মেহেরপুর সদরের বারাদীতে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত-৫
এম চোখ ডটকম,বারাদী: মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ইউনিয়নের পাটকেলপোতা ও চাঁদপুরে পৃথক দুটি স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পৌর কলেজ পাড়ার আসকার আলীর ছেলে পলাশ আহমেদ (১৮), দামুড়হুদা থানার মুক্তারপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (১৫), মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের মৃত মোনাজাত আলীর ছেলে আঃ রাজ্জাক, একই গ্রামের ছামেনার ছেলে মন্টু (৩৪), কলাইডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আফ্রিদি (১৪)। গতকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে চাঁদপুরে পলাশ ও আফ্রিদির মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা দুজন আহত হয়। এরপর পরপরই পাটকেলপোতা যাত্রী ছাউনির সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজ্জাক, মন্টু ও মারুফ নামের তিন যুবক আহত হয়। মোমিনপুর গ্রামের রাজ্জাক ও মন্টু দুজনেই বাক প্রতিবন্ধী এবং পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। তারা দুজনে বারাদী ইউনিয়নের সিংহাটি গ্রাম থেকে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পাটকেলপোতা যাত্রী ছাউনির নিকট পৌছালে বিপরীত থেকে চুয়াডাঙ্গার মুক্তারপুর গ্রামের আক্তারের ছেলে মারুফের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মারুফ আমঝুপি বিএডিসি ফার্মে সূর্যমুখীর বাগান দেখে বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের সজোরে ধাক্কা মারে। এতে ঘটনা স্থলে ছিটকিয়ে পড়ে মারুফের ডান পায়ের হাড় ভেঙে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন বর্তমান সময়ে উঠতি বয়সের যুবকেরা নিয়মিত আমঝুপি খামারের সূর্যমুখির ফুল বাগান দেখতে আসছে এবং বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালনা করছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে প্রাণহানি। এ ঘটনাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। অপরদিকে চাঁদপুরের দুর্ঘটনায় কলাইডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ারের ছেলে আফ্রিদি ডান পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দমকল কর্মীরা সকলকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পলাশ ও মন্টু কে ছাড়পত্র দেয়া হলেও আফ্রিদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় এবং রাজ্জাক ও মারুফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।