মেহেরপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ দুই প্রার্থী পক্ষের ৪ জনকে শোকজ
এম চোখ ডট কম, গাংনী:
নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একই দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান সহ মোট ৪ জনকে শোকজ করেছে মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান (ট্রাক প্রতীক), তার নির্বাচনী সহযোগী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী এবং মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশনকে পৃথক পৃথক শোকজ করা হয়েছে। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হুমকি প্রদানের ভিডিও দেখে আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে স্বপ্রণোদিত শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারী) রাত ১০টা পর্যন্ত মেহেরপুর-১ (সদর – মুজিবনগর) সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন এ সকল শোকজ করেন।
অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২ জানুয়ারি পিরোজপুর ইউনিয়নের কাঁঠালপোতায় এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘দুর্গা ডোবার আগে এসে হাত মেলাও।’ এ কথাটি বলে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছেন।
একই দিনে অ্যাড. মিয়াজান আলী সম্পর্কে অভিযোগে বলা হয়েছে, ভোটের পরের দিন সবকিছু দখল করে নেওয়া হবে এবং চাবি কেড়ে নেওয়া হবে।
আর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বাবলু বিশ্বাস বলেছেন, শহিদুল ইসলাম পেরেশান ২ জানুয়ারী কাঁঠালপোতার জনসভায় ফরহাদ হোসেনকে ক্যাসিনো ও টেন্ডারের নিয়ন্ত্রক, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী সৈয়দা মোনালিসা ইসলামকে মেহেরপুরের ক্যাসিনো রানী বলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
এদিকে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে তিনি বলছেন, চারটি সেন্টারে ট্রাকের এজেন্ট আমি দেখতে চাই না বলে বক্তব্য দিয়েছেন। এমন অভিযোগে ভাইরাল ভিডিওটি দেখে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি স্বপ্রণোদিত হয়ে তাকে শোকজ করেছেন। আগামী শনিবার ৬ জানুয়ারি স্বশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে সকলকে শোকজের উত্তর দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।