270
এম চোখ ডটক,গাংনী: গাংনী বাস স্ট্যান্ডে পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পৃথক কর্মসুচী ঘোষণা করে । এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত কর্মসুচী স্থগিত করায় জনমনে স্বস্তি নেমে আসে। সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মসুচী প্রত্যাহারের কারণ বর্ণনা করেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল। নিজ বাস ভবনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মোখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে শান্তি রক্ষার দল। কোন প্রকার উচ্ছৃংখলতা ও নাশকতা আওয়ামী লীগ পছন্দ করে না। বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা এবং পথচারীদের দুর্ভোগ কমাতে কর্মসুচী স্থগিত করা হয়েছে। যেহেতু মানুষের জন্য রাজনীতি তাই মানুষের দুর্ভোগ দেওয়া রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। তিনি বলেন, কর্মসুচী বাস্তবায়নে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হয়েছিলেন। এর পাশেই বিএনপির কর্মসুচীস্থল। তাই প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে কর্মসুচী স্থগিত করা হয়। বিএনপির কর্মসুচী পালনে পুলিশ আগেই অনুমতি দিয়েছিল উল্লেখ করে মোখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, একইসাথে একই জায়গায় কর্মসুচী পালনে বিশৃংখলার আশংকা দেখা দেয়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে কর্মসুচী পালনে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় তাই কর্মসুচী স্থগিত করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত নাশকতা করলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে গাংনীতে মিছিল সমাবেশের নামে নাশকতা করেছে তারা। তাই আমরা সব সময় সতর্ক সজাগ রয়েছি। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাদের যে কোন প্রকার বিশৃংখলা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বর্তমান সরকারের সফলতা দিয়েই আগামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করে তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থেকে হটাতে পারবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন মোখলেছুর রহমান মুকুল। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিথ ছিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু, ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী আজগর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল বাসারসহ নেতৃবৃন্দ।