সূমি; মেহেরপুরের হিরক দ্যুতি
এম চোখ ডটকম,গাংনী:
মেহেরপুরে যারা আর্থ সামাজিক উন্নয়নসহ দেশ ও জাতী গঠনে উজ্জল ভুমিকা রেখেছেন এবার তাদের সারিতে নাম লেখিয়েছেন শারমিন আক্তার সূমি। বিশে^র পরাশক্তি আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর তত্বাবধানে ৫ বছর ধরে গবেষণার পর তিনি সফল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সামুদ্রিক জীব থেকে প্রোট্রিন নিয়ে এসে পরিবেশ দূষণ রোধে কিভাবে কাজে লাগানো যায় এ বিষয়ে তিনি গবেষণা করেন।
শারমিন আক্তার সুমি মেহেরপুরের গাংনীর ডিগ্রী কলেজ পাড়ার আব্দুর বারির মেয়ে। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবস্থান করছেন। অতিশীঘ্র তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র সাইন্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন। তবে এদেশ ও জাতীর জন্য কিছু করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, শারমিন আক্তার সুমি বাল্যকাল থেকেই মেধাবী। ২০০৪ সপ্তম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ন্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তিতে সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। প্রিক্যাডেটে ৫ ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ ও জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ২০০৮ গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এক প্লাস পেয়ে উর্ত্তীর্ণ হন। ২০১০ সালে ঢাকা রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন। পরে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ফার্মেসিতে বিফার্ম এবং এমফার্ম ডিগ্রি অর্জন করে। উভয় পরীক্ষায় ফোর আউট অব ফোর এবং ডবল গোল্ড মেডেলিস্ট হন সুমি।
পরবর্তীতে সুমি ঢাকায় রেনাটা লিমিটেডে আরএনডি (রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট) সিনিয়র সাইন্টিটিস্ট হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেইট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি লাভের সুযোগ পান। এস এ বাংলাদেশী হিসেবে কেমিস্ট্রিতে এই ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সুযোগ পান এবং প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেইট ইউনিভার্সিটিতে তার গবেষণার বিষয় ছিল, সামুদ্রিক জীব থেকে প্রোট্রিন নিয়ে এসে পরিবেশ দূষণ রোধে কাজে কিভাবে লাগানো যায়। প্রিজারভেটিভ ফারটিলাইজার, কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রং তৈরীর কারখানাতে যে বর্জ্য উৎপাদন হয় তা খুবই বিষাক্ত হয়। এগুলোকে সামূদ্রীক জীবের প্রোট্রিন দিয়ে দূষণ দূর করা ও একইসাথে হসপিটাল বর্জ্যও মারতে পারে। ৫ বছর ধরে গবেষণার পর চলতি বছরের ১৯ মাচর্ তারিখে তিনি সফল হন এবং প্রফেসর Stefan franzen ডিফেন্স কমিটির ৫ সদস্য সুমিকে পিএইচডি উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা গবেষণা প্রেজেনটেশন ও প্রশ্ন উত্তরে শতভাগ নম্বর দেন।
সুমি আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র সাইন্টিস হিসেবে শুরু করবেন পাশাপাশি দেশের জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।