ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এ অঞ্চলের মানুষের কাছে ঈদ উৎসবের মতই ।। প্রস্তুতি সম্পন্ন
মেহেরপুরের চোখ ডটকম,মুজিবনগর:
একাত্তরে রণাঙ্গনের চিত্রই পাল্টে দিয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার বা মুজিবনগর সরকারের শপথ। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে এ সরকারের শপথের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই সরকারের নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। ফলে দিনটি ইতিহাসের পাতায় চীর অম্নান হয়ে থাকবে আজীবন। আরও স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছরই আম্রকাননে উদযাপন করা হয় মুজিবনগর দিবস। এবারও দিবসটি পালনে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে দিবসটি স্থানীয় মানুষের কাছে ঈদ উৎসবের মতই বলে জানালেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জেলা প্র্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, মুজিবনগর কমপ্লেক্সের ভেতরে বাইরে এখন নানান সাজ সজ্জার প্রস্তুতি। শপথ গ্রহণের স্থলে নির্মিত স্মৃতিসৌধ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ প্রায় শেষের দিকে। স্মৃতিসৌধের পিলারগুলো ঘসে মেজে উজ্জলতা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর সামনে রয়েছে শেষ হাসিনা মঞ্চ। এই মঞ্চেই মুজিবনগর দিবসের আনুষ্ঠানিকতা করা হয়। যা ইতিমধ্যে রঙ তুলির আচড়ে উজ্জলতা ফিরে পেয়েছে। আলোচনা সভার জন্য মঞ্চের সামনে বাঁশের বেস্টনি দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও লোকসমাগমে শৃংখলা বজার রাখতে নির্দিষ্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বসার স্থান। বাঁশের খুঁটি পুতে নির্দেশ করা হচ্ছে মঞ্চ ও উপস্থিত দর্শকদের অবস্থানের জায়গা। এর অদূরেই থাকছে পানির টিউবওয়েল আর অস্থায়ী টয়লেট ব্যবস্থা। এছাড়াও কমপ্লেক্সের ভেতরের সড়কগুলোতে রাতে রঙ্গিন আলো এবং ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে বর্ণিল করা হচ্ছে। মেহেরপুর জেলা ছাড়াও আশেপাশের জেলাগুলো থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের আগমন হবে। দিবস পালন সফল করতে সরকারী ও দলীয় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মুজিবনগর আম্রকাননের আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করবেন।
প্রস্তুতি সম্পর্কে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার নাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে জড়িত বিধায় এ দিবসটি মেহেরপুর জেলার মানুষের জন্য অত্যান্ত গর্বের। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দিবসটি পালনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।
এদিকে প্রস্তুতির একটি বড় অংশ আইন শৃংখলার বিষয়টি ছক তৈরী করে নিবিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেছে জেলা পুলিশ। মেহেরপুর পুলি সুপার রাফিউল আলম বলেন, নিবিঘ্নে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মুজিবনগর কমপ্লেক্স এলাকায় চার স্তুরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অপরদিকে কমপ্লেক্সের পাশেই ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহলে থাকছে বিজিবি।
মুজিবনগর দিবস এ এলাকার মানুষের কাছে ঈদ উৎসবের মতই। সব শ্রেণি পেশার মানুষের অংশ গ্রহণে দিবসটি পালন অনুষ্ঠান হয়ে উঠে প্রাণবন্ত। অনুষ্ঠান সফল করতে গ্রাম পর্যায় থেকেই নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আয়ুব হোসেন এবং মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু।